বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ মে ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার-২ ভবনে স্থাপন করা অস্থায়ী এজলাসে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ আদেশ দেন। এই আদালতে এসব মামলা শুনানির জন্য ধার্য ছিল গতকাল। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম হাই কোর্টে স্থগিত আছে জানিয়ে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে বিচারক শুনানির জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। ১১ মামলার মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর দারুসসালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় চার্জশিট দেওয়ার বিষয়ে শুনানির জন্য রয়েছে। অপর ১০ মামলা ছিল চার্জ শুনানির জন্য।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি দায়ের করা হয়।

ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ। ২০১৫ সালে দারুসসালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এ আট মামলায় খালেদাকে আসামি করা হয়। ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সব মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া এসব মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।