বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা- ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে না আসা প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেছেন, ওই মার্কেটে আগুন লাগা ও তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করার সব ধরনের সহায়ক পরিবেশ ছিল। প্রথমত কাপড় ও তুলার আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেটে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিল না। অপ্রশস্ত সড়কের কারণে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের পর্যাপ্ত সংখ্যক গাড়ি মার্কেটটির চারপাশে দাঁড়ানোর জায়গাও নেই। আমি মহাপরিচালক থাকাকালে ‘অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ’ উল্লেখ করে ওই মার্কেটে বহুবার ব্যানার টানিয়ে দিয়েছি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা অনেক বেশি উল্লেখ করে সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, নানা কারণে ফায়ার সার্ভিস ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কোথাও আগুন লাগলে শত শত মানুষ গিয়ে ভিড় করে। রাস্তা আটকে মোবাইলে ভিডিও করে। এ কারণে ফায়ারকর্মীরা ঠিকভাবে কাজও করতে পারেন না। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচল বিঘ্নিত হয়। পানির উৎসেরও সমস্যা আছে। তিনি বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটে অল্প জায়গায় গাদাগাদি করে প্রচুর মালামাল রাখা হতো। সবই দাহ্যপণ্য। তুলা ও কাপড়ের আগুন দ্রুত নিচের দিকে চলে যায়। ওপরের আগুন নিভলেও ভিতরে থেকে যায়। নেভাতে সময় লাগে। ফায়ারকর্মীরা ওই মার্কেটের ভিতরে ঢুকে আগুন নেভাবে সেই সুযোগও নেই। ঠিকভাবে বাতাস চলাচলের জায়গাও ছিল না। এ জন্য ব্যানার টানিয়ে দিয়েছিলাম। আগুন নেভাতে হেলিকপ্টারে পানি ছিটানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে ওপর থেকে পানি ছিটিয়ে খুব একটা লাভ হয় না। ফায়ার ফাইটারদের ভিতরে গিয়ে পানি দিতে হয়। কিন্তু ওই এলাকার মার্কেটগুলোর যে স্ট্রাকচার, তাতে ভিতরে গিয়ে পানি দেওয়া কঠিন। প্রতিটা দোকানে তাৎক্ষণিক আগুন নেভানোর উপকরণ থাকলে আজ হয়তো এই পরিস্থিতি দেখতে হতো না। ফায়ার সার্ভিসের সাবেক এই মহাপরিচালক বলেন, এসব মার্কেট, শপিং মলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। কেউ মানে না। আবার আমরা সবসময় আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারি না। ফায়ার সার্ভিসের আইনে সর্বনিম্ন সাজা তিন বছর। অন্যদিকে মোবাইল কোর্ট সর্বোচ্চ দুই বছর সাজা দিতে পারে। অর্থাৎ, আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেও ফায়ার সার্ভিস আইনে শাস্তি দিতে পারি না। আইনের এসব দুর্বলতা দূর করা দরকার। অগ্নিদুর্ঘটনা কমাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে কাজ শুরু করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে ঝুঁকি অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিরোনাম
- পুঁজিবাজার : সূচকের পতনে চলছে লেনদেন
- কার্গো ভিলেজ এলাকায় আমদানি সংশ্লিষ্টদের ভিড়
- এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ফ্লাইট চলাচল
- এমএলএসে মেসির রাজত্ব : ২৯ গোলসহ ১৯ অ্যাসিস্ট, পেলেন গোল্ডেন বুট
- আরও দুটি উন্নত সংস্করণের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল ইরান
- যাত্রীচাপ সামলাতে সময় বাড়ল মেট্রোরেল চলাচলের
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
- ৪০ বছরের পথচলা শেষে বন্ধ হচ্ছে এমটিভি
- ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ আন্দোলনে জনতার ঢল, উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র
- ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’, তালিকায় সপ্তম
- স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কেন হলিউড ছেড়েছিলেন ক্লুনি
- আরও দুই ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
- সতীর্থের চোটে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরলেন লাবুশেনে
- মেসির হ্যাটট্রিকে মায়ামির বড় জয়
- আজ আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বেলা ১১টা পর্যন্ত
- চার দিনের মধ্যে লঘুচাপের শঙ্কা, হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ও
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ অক্টোবর)
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান
- ট্রাম্পের লক্ষ্য: আফগান-পাকিস্তান সংঘাত সমাধান হবে ‘নম্বর ৯’
- ওমানে নিহত সাত প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরল