বুধবার, ৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিবিএসের জরিপ

বেকার বেড়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) তার আগের প্রান্তিকের তুলনায় দেশে বেকারের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, এ বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশে বেকার ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। আর গত বছরের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এই সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ২০ হাজার। তবে গত বছরের একই সময়ের (জানুয়ারি-মার্চ) তুলনায় এ বছর বেকারের সংখ্যা ৪০ হাজার কমেছে। জরিপের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার পুরুষ এবং ৯ লাখ ৪০ হাজার নারী। আর চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার মানুষের মধ্যে ১৭ লাখ ১০ হাজার পুরুষ এবং ৮ লাখ ৮০ হাজার নারী। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনএসি সম্মেলন কক্ষে প্রথমবারের মতো শ্রম জরিপের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নিয়ম অনুসারে পরিচালিত এ জরিপের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারাই যারা গত সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কাজ করেনি; কিন্তু গত সাত দিনে কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং গত ৩০ দিনে বেতন মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কাজ খুঁজেছেন। এর আগে ‘শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পাঁচ বছর আগের চেয়ে দেশে বেকারের সংখ্যা ৭০ হাজার কমে ২৬ লাখ ৩০ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে; বেকারত্বের এ হার মোট শ্রমশক্তির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১৭ সালের জরিপে দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ, যা ওই সময়ের শ্রমশক্তির ৪ দশমিক ২ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশে বেকারত্বের তথ্য পাওয়া গেছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। পুরুষের ক্ষেত্রে তা ৩ দশমিক ৫৪ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। বিবিএস বলছে, এ বছর জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশে শ্রমশক্তিতে নিয়োজিত মোট জনগোষ্ঠী পাওয়া গেছে ৭ কোটি ৩৬ লাখ। আর কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৭ কোটি ১১ লাখ। শ্রমশক্তির বাইরে থাকা মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ৬৩ লাখ; শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বর্তমানে দেশে যুব শ্রমশক্তি ২ কোটি ৭৩ লাখ। অর্থনৈতিক খাত অনুযায়ী কৃষিতে নিয়োজিত আছে ৩ কোটি ১৯ লাখ, শিল্প খাতে ১ কোটি ২২ লাখ, সেবা খাতে ২ কোটি ৬৯ লাখ মানুষ। বেকারত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে আমাদের দেশে কৃষি খাতে কাজ কিছুটা কমে যায়। ডিসেম্বরের মধ্যে রবি ফসল কাটা শেষ হয়ে যায়। এর পরে বিশেষ করে কৃষি কাজে নিয়োজিত অনেক মানুষ কিছুদিনের জন্য বেকার থাকে। তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিবিএস মহাপরিচালক আতিয়ার রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর