যুক্তরাষ্ট্র সফররত ভারতীয় কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী গত ৩ জুন এবং ১ জুন নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বেশকটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতেও শিক্ষার্থীসহ ভারতীয় আমেরিকানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভারতীয় আমেরিকানরা ‘ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস’ ব্যানারে এসব কর্মসূচির আয়োজন করেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় করার সময় ‘গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের জন্য বাংলাদেশে মানুষকে লড়তে হচ্ছে। আপনি কী বিষয়টি সম্পর্কে অবগত- এমন এক প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের বন্ধু। তবে বাংলাদেশের মানুষকেই তাদের চলার পথ ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে আমার বলে দেওয়া উচিত হবে না।’ ভারতের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং চলমান দমন-নিপীড়ন প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভারতে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে, এটা লুকানোর কিছু নেই। সবাই জানে- ভারতে এ বিষয়টা এখন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর অন্য দেশের সবাই এটা দেখতে পাচ্ছে। আমি মনে করি একটি দেশের গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজনকে স্বাধীনভাবে সমালোচনার সুযোগ দিতে এবং অপরজনকে সে সমালোচনা শুনতে হবে। আর এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই গণতন্ত্র মজবুত হয়। অবশ্যই ভারতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দুর্বল হচ্ছে।’
এদিকে নিউইয়র্ক সিটিতে ৩ জুন দুপুরে রুজভেল্ট হাউস পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটে শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক আলোচনায় রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ভারতের মুসলমানদের ওপর যে ঘৃণামূলক আক্রমণ চলছে, কংগ্রেস সরকারের আমলে কখনো তা হয়নি। কারণ কংগ্রেস তার সব সমস্যা ও সংকট সত্ত্বেও মোটামুটিভাবে ভারতে ধর্মনিরপেক্ষ এক অবস্থান বজায় রাখতে চেষ্টা করেছে। বিজেপি-আরএসএস সরকারের আমলে মোদির জমানায় মুসলমান এবং দলিতদের ওপর নির্যাতন অনেক বেড়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন চেতনা যে জাগ্রত হচ্ছে- সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।