নিজেকে ‘নিষ্পাপ’ বলে দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরকারি নথি নিজের কাছে রাখা ও ন্যায়বিচারে বাধা দেওয়ার অপরাধে অভিযোগ গঠনের পর তিনি এই দাবি করেন। এরই মধ্যে ‘সরকারি গোপন নথি’র এক মামলায় ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। যদিও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু প্রকাশ করা হয়নি। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত ৪ মিনিটের ভিডিওবার্তায় ট্রাম্প নিজেকে নিষ্পাপ দাবি করে বলেন, দেশটির বিচার বিভাগকে আমার বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ট্রাম্প জানান, তিনি ট্রুথ সোশ্যালে বড় হাতের ইংরেজিতে লিখে দিয়েছেন, ‘আমি একজন নিরপরাধ মানুষ!’
অভিযুক্ত হলেন ট্রাম্প : রাষ্ট্রীয় গোপন নথি-সংক্রান্ত মামলাসহ দ্বিতীয় কোনো মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ৭৬ বছর বয়সী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বিধিবহির্ভূতভাবে সরকারি গোপন নথি নিজের কবজায় রাখাসহ সাতটি অভিযোগের মুখে রয়েছেন ট্রাম্প। তবে এসব অভিযোগের বিষয়টি দেশটির সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো প্রকাশ করেনি। তবে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি-সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি ট্রাম্প নিজেই নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার নিজের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ তথ্য নিশ্চিত করে ট্রাম্প লেখেন, তাঁকে অভিযুক্ত করে মায়ামির একটি ফেডারেল আদালতে হাজির হতে তাঁর নামে সমনও জারি করা হয়েছে।’ ট্রাম্প বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমনটা (মামলায় অভিযুক্ত) করা যে সম্ভব, আমি কখনো তা ভাবিনি।’ একে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘কালো দিন’ বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক দেশ, যার দ্রুত পতন হচ্ছে। আর এ পতন বেশ গুরুতর। কিন্তু আমরা সবাই মিলে আবারও আমেরিকাকে মহান করে তুলব।’ ট্রাম্পের আইনজীবী জিম ট্রাস্টি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে (ডোনাল্ড ট্রাম্প) একটি সমন পাঠানো হয়েছে। সেখানে অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ আছে। এর মধ্যে ষড়যন্ত্র, মিথ্যা সাক্ষ্য, আদালতের বিচারকাজে বাধা দেওয়াসহ গুপ্তচরবৃত্তি আইনে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের কাছে রাখার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এদিকে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার এ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এবং এসব অভিযোগের বিষয়ে সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশও করেনি। তবে খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় গোপন নথি-সংক্রান্ত এ মামলাসহ দ্বিতীয় কোনো মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এ অনুযায়ী আদালতে যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁর ১০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে। আইন বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, মামলায় অভিযুক্ত হলেও ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে বাধা নেই।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে হবে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি প্রচারণাও শুরু করেছেন।
