রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে সপ্তম তলার কেবিন ৭২০১ থেকে চতুর্থ তলার সিসিইউ ৪২১৯ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন এবং পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে কয়েক ঘণ্টার জন্য কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে তাঁর প্রাণনাশের ঝুঁকি কাটেনি। লিভারের জটিলতা বেড়েছে। চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ম্যাডামের’ শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। এখনো ঝুঁকি কাটেনি। তাঁর একমাত্র চিকিৎসা এখন বিদেশের ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স হেলথ সেন্টারে’। এখানে তাঁকে শুধুমাত্র বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। ডা. জাহিদ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতার জন্য সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে (২৪ ঘণ্টা) সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর পেটে ও বুকে পানি জমেছে। সেই পানি কমানোর চেষ্টা চলছে। লিভার জীবাণু আক্রান্ত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তাঁকে আর বাসায় নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাকে এখন উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। অথচ এই অ্যান্টিবায়োটিকও এখন মাঝেমধ্যেই কাজ করছে না। তিনি মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, লিভারের সংক্রমণের কারণে বেগম খালেদা জিয়ার পেটে বারবার পানি চলে আসছে। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকেও এখন তেমন কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি একেবারে হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তাকে দুবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। বেগম জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ পর্যন্ত আট ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। এখানে চিকিৎসকদের হাতে আর কিছুই করার অবশিষ্ট নেই। এখন উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। অথচ দুই বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে বেগম জিয়ার পেটে ও হৃদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না। তাঁর অবস্থাও এত আশঙ্কাজনক হতো না। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট (প্রতিস্থাপন) হয় না। ২০০৬ ও ২০০৮ সালে ৃবারডেমে পরীক্ষামূলকভাবে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট চালু হলেও সেটি সফল না হওয়ায় অব্যাহত রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলক চালু হয়েও একই কারণে আবার বন্ধ হয়ে গেছে।
শিরোনাম
- ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
- হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
- রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
- হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
- জার্মানিকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
- যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি তৎপরতায় লিপ্ত ৮০ হাজার বিদেশীর ভিসা বাতিল
- ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ
- ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
- রংপুর সদর আসনে বিএনপির সামু’র নির্বাচনী প্রচারণা
- বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীর মামলা
- নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৩ কোটি টাকার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ
- চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
- কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ও থানায় ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে : আমানউল্লাহ
- আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটক ২
- ‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’
- শেকৃবিতে পুনর্জন্ম কৃষি নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর