আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফিলিং স্টেশনগুলো ঈদের দিন এবং আগের সাত দিন ও পরের পাঁচ দিন সব সময় খোলা থাকবে। এ সময় নো হেলমেট, নো ফুয়েল নির্দেশনা মানতে হবে। মন্ত্রী-এমপির লোক বলেও কেউ যেন পার না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গতকাল রাজধানীর বিআরটিএ ভবনে আসন্ন ঈদযাত্রার প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ঈদের দিন এবং আগে-পরে ছয় দিন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ, সার ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন চলবে। বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে কিন্তু বাস মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গি নিচে নেমে গেছে। ভালো গাড়ি তারা চালায় না। এ জন্য সিটি করপোরেশন ও বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। এবারের ঈদযাত্রায় রাজধানীর প্রবেশপথগুলো নজরদারিতে রাখতে হবে। লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি রং দিয়ে লাভ নাই, ফিটনেস আছে কি না তা দেখতে হবে। তিনি বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা রোধ করতে দফায় দফায় মিটিং হয়। যদি এতে কোনো ফলাফল না আসে অর্থাৎ দুর্ঘটনা কমানো না যায় তবে মিটিংয়ের নামে আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই। ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করলে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে। বাসগুলো টার্মিনাল থেকে কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে বেশি ভাড়ায় যাত্রী তোলে, বিআরটিসিও এটি করে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। যাত্রী হয়রানি বন্ধে বিভিন্ন টার্মিনালে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থাকবে ও টিম কাজ করবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গাজীপুর ও চালনা থেকে গার্মেন্ট কর্মীদের জন্য বিআরটিসির গাড়ি দেওয়া হবে। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করতে পোশাক কারখানাগুলোতে পর্যায়ক্রমে ছুটি ঘোষণা করতে হবে। ধাপে ধাপে পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার বিষয়টি বলা হলেও তা মানে না মালিক পক্ষ। গত ঈদুল ফিতরে পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ছুটির জন্য এক দিন যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, লোকজন আনন্দ করে বাড়ি যাবে। সেখানে এক দিন কষ্ট হলে, কী আসে যায়।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।