আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়া ছিল যুক্তিহীন। কোটা নিয়ে হাই কোর্টের আপিল ডিভিশন ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। এখন আর কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কোটা নিয়ে রায়কে স্বাগত জানাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করায় স্বাধীনতাকামী জনগণকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। গতকাল বিকালে ইস্কাটনে নিজ বাসায় কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আমু বলেন, এখন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে যে আলোচনা হচ্ছে তা দ্রুত সমাপ্ত হওয়া উচিত। আশা করি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুশৃঙ্খলভাবে পরিবেশ ফিরে আসবে। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবন শুরু করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। দেশের জনগণও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার কারণে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ জন্য স্বাধীনতাকামী জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করা ছিল যুক্তিহীন। কারণ ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার কোটা বাতিল করেছে। এর পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা হাই কোর্টে আপিল করে। সরকার কোটার পক্ষেই লড়াই করেছে। প্রতিটি স্তরে অ্যাটর্নি জেনারেল কোটাপদ্ধতি ফিরিয়ে আনার বিরোধিতা করেছে। কাজেই কোটা নিয়ে আন্দোলন ছিল অনাকাক্সিক্ষত। এর পরও এখন কোটাবিরোধী ছাত্ররা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে যে, তাদের আন্দোলন হাইজ্যাক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের আন্দোলনের সঙ্গে মিশে একটি পক্ষ আগুন সন্ত্রাস করেছে, এর সঙ্গে ছাত্রদের কোনো সম্পর্ক নেই। কাজেই অন্য পক্ষ সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে। সংবাদ সম্মেলনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, হাই কোর্টের রায় এবং ছাত্রদের যে দাবি এটা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো পক্ষের বিরোধ নেই। বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গি গোষ্ঠী যে ধ্বংত্মাক কর্মকা করেছে, সেটা দমন করা রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে বিকল্প করলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ করে নেবে। মন্ত্রীদের সঙ্গে ছাত্রদের আলোচনা করে সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে, এটাই প্রত্যাশা। বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার, গণতন্ত্রী পার্টির ডা. শহিদুল্লাহ সিকদার, ডা. শাহাদাত হোসেন, বাসদের রেজাউল রশিদ খান, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের অসিত বরণ, গণআজাদী লীগের এসকে সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিরোনাম
- ঝিনাইগাতীতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- মাইলফলকের ম্যাচে মুশফিকের ফিফটি
- রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭
- অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ
- রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১
- নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা
- একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
- গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : মির্জা ফখরুল
- দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
- নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির
- মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের
- সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
- গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর
- পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
- নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
- রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
- শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
- অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
- জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে: শামা ওবায়েদ
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৪ মামলা
প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর