নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়কের নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ নির্ভর করছে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সদিচ্ছার ওপর। এটি জাতীয় ইস্যু। এ ইস্যুতে সব দলকে এক হতে হবে। সংগঠনের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুর রহমান মাসুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, সড়ক নিরাপত্তায় রাষ্ট্রীয় চিন্তা দরকার। কিন্তু তেমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উল্টো ইলিয়াস কাঞ্চনকে হেনস্থা করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুর রহমান মাসুদ বলেন, নিরাপদ সড়কের জন্য দরকার নিরাপদ রাষ্ট্র, নিরাপদ শাসক। তিনি বলেন, নাগরিকদের মধ্যে মূল্যবোধের জন্ম দিতে হবে; ব্যক্তিকে নয়, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চালকদের লাইসেন্স দিতে হবে। চালক ভুল করলে তাকে নয়, প্রতিষ্ঠানকে ধরতে হবে। মানবিক মূল্যবোধের মর্যাদা সৃষ্টি করতে হবে এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ওভারটেকিং, বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক ও চালকদের মানসিক উদ্বেগ। আমাদের দেশে এই বিষয়গুলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমাধানের কোনো অথরিটি নেই। তিনি বলেন, শাহজাহান খানরা সিন্ডিকেট করে লাইসেন্স দিয়েছে। এখন গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থার চেহারা পাল্টানোর সুযোগ এসেছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, সড়ককে নিরাপদ করার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে কাজ করতে হবে