রাষ্ট্রীয় সংস্কারে ভূমিকা রাখায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ। তবে এমন কোনো উপাধি গ্রহণে ইচ্ছুক নন অধ্যাপক ইউনূস।
হাই কোর্টের রুলের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাই কোর্ট থেকে যে রুল জারি করা হয়েছে, সেটি সরকারের নজরে এসেছে এবং আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর সরকার যথাসময়ে এই রুলের জবাব দেবে। সরকার স্পষ্ট করতে চায় যে অধ্যাপক ইউনূস নিজে এমনভাবে ঘোষিত হতে ইচ্ছুক নন এবং সরকারও তাঁকে এ ধরনের কোনো উপাধি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না। আবেদনকারী নিজ উদ্যোগে এই রিটটি দায়ের করেছেন বলে মনে হয় এবং কীসের ভিত্তিতে এই নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আর্চবিশপ র্যান্ডালের সাক্ষাৎ : ক্যাথলিক চার্চের দূত (অ্যাপোস্টলিক নুনসিও) আর্চবিশপ কেভিন এস র্যান্ডাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ৬-১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তধর্মীয় সংলাপে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। আর্চবিশপ বলেন, এ সংলাপের মূল লক্ষ্য সহনশীলতা, সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের সংস্কৃতি প্রচার করা। এ কর্মসূচিতে একযোগে একাডেমিক এবং বাস্তবভিত্তিক সংলাপের মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছানো হবে। আর্চবিশপ র্যান্ডাল সেপ্টেম্বরে ফ্রাতেল্লি তুত্তি ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে রোম সফরের আমন্ত্রণও জানান।