দেশ এখন সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনই নির্ধারণ করবে দেশ গণতন্ত্রের পথে এগোবে নাকি সেখান থেকে সরে যাবে। গতকাল রাজধানীর ভাটারায় জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। সিইসি বলেন, সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে হলে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়- ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবে শুধু সিইসি হিসেবে নয়, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সফল করা। সিইসি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে। কেননা আমরা কোন পথে এগোবো গণতন্ত্রের পথে নাকি তার বাইরে এটা এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। গণতন্ত্র যেন আরও এগিয়ে যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাইবাছাই না করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে দেওয়া হয়। আনসার সদস্যরা তৃণমূলে গুজব ছড়ানো প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করতে পারে।
এ ছাড়াও নির্বাচন কমিশনে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে, যা ভুয়া তথ্য যাচাই ও প্রতিরোধে কাজ করবে।
সিইসি বলেন, এবার থেকে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও নিজেদের ভোট দিতে পারবেন। এজন্য আগামী ১৬ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোটিং অ্যাপ’ চালু করতে যাচ্ছে ইসি। সভাপতির বক্তব্যে আনসার ডিজি বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদেরকে নির্বাচনি দায়িত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার আগে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সহায়তায় ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে তাদের নির্বাচনি দায়িত্ব দেওয়া হবে না।