অধিকাংশ মহিলার জীবদ্দশায় অন্তত একবার ওভারিয়ান সিস্টের অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা ব্যথামুক্ত থাকে, শুধু রুটিন পেলভিক এক্সামিনেশনে তা বোঝা যায়, তাই অনেকে এ বিষয়টি নিয়ে সচেতন নন। বিরল ক্ষেত্রে ওভারিয়ান সিস্ট কোন গুরুতর সমস্যা করে।
প্রকারভেদ : (১) ফলিকুলার সিস্ট (২) করপাস লুটিয়াম সিস্ট (৩) থেকা লুটেন সিস্ট (৪) ডারময়েড সিস্ট। (৫) এন্ডোমেট্রোয়েড সিস্ট
(৬) হেমোরেজিক সিস্ট (৭) পলিসিস্টিক ওভারি (৮) সিস্ট এডিনোমা।কারণ : (১) অনিয়মিত মাসিক বা ঋতুস্রাব। (২) অল্প বয়সে ঋতুস্রাব শুরু হওয়া। (৩) বন্ধ্যত্ব। (৪) হাইপো-থাইরয়েডিসম। (৫) স্মোকিং। (৬) কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি।
লক্ষণ/উপসর্গ : (১) ঋতুস্রাবের আগে বা পরে তলপেটে ব্যথা। (২) মলত্যাগের সময় পেটে ব্যথা। (৩) সহবাসের সময় ব্যথা। (৪) তলপেট বড় হয়ে যাওয়া। (৫) কোমরে ব্যথা। (৬) স্তনে ব্যথা, বমি ভাব।
গুরুতর অবস্থায় : (১) প্রচণ্ড তলপেটে ব্যথা। (২) জ্বর। (৩) মাথা ঘুরানো বা জ্ঞান হারানো।
(৪) ঘন ঘন শ্বাসত্যাগ।
শনাক্তকরণ পরীক্ষা : (১) এন্ডোভ্যাজাইনাল আলট্রাসনোগ্রাম। (২) সিটি স্ক্যান। (৩) এমআরআই। (৪) লেপারস্কপিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ।
(৫) হরমোন লেভেল পরীক্ষা। (৬) সেরাম ঈঅ-১২৫ পরীক্ষণ। (৭) কাল্ডো-সেন্টেসিস।
চিকিত্সা : ওভারিয়ান সিস্টের চিকিত্সায় ডাক্তাররা রোগীর বয়স, সিস্টের ধরন, আকৃতি এবং লক্ষণ/উপসর্গ অনুযায়ী চিকিত্সা দিয়ে থাকেন। অধিকাংশ সময়ে সিস্ট সাধারণত নিজ থেকেই আরোগ্য লাভ (Birth Control Pill/OCP-Oral Contraceptive Pill) করে। এছাড়াও জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি দিয়েও ওভারিয়ান সিস্টের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। অনেকক্ষেত্রে সার্জারির দ্বারা ডাক্তাররা ওভারিয়ান সিস্টের অপসারণ করে থাকেন।
ডা. এমএস মলি, এমফিল, এইচএমও, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।