বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য

পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ছিল গতকাল। বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে দিনটি। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল— ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য’।

কেন তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা : এ সময়ে ব্রেনের কার্যক্রমের পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ সময়ে ৫০% মানসিক রোগ বোঝা যায়। এ সময়ে তরুণদের ভিতর ব্যাপক শারীরিক মানসিক সামাজিক ও দায়িত্বের পরিবর্তন হয়। এ সময়ে তরুণরা নেশাগ্রস্ত, বিপদগামী, যৌন হয়রানি, যৌন পারভার্সন, ইন্টারনেট এডিকশন ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এই গ্রুপে বিষণ্নতার লক্ষণ ও ভিন্ন হতে পারে যেমন বিরক্তভাব, ক্ষিপ্ত হওয়া, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় : সামাজিক কুসংস্কার মুক্ত করা। ওষুধের সহজলভ্যতা কর। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে আরও বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া।  স্কুল-কলেজের শিক্ষা কারিকুলামে মানসিক রোগ প্রতিকারের ওপর আরও গুরুত্ব দেওয়া। মানসিক চিকিৎসকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা। বিষণ্নতার ক্ষতিকর দিকগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরা। তরুণদের শারীরিক কার্যকলাপে উৎসাহিত করা, ন্যূনতম ৬ ঘণ্টা ঘুমানো। তরুণদের সব ধরনের ভায়লেন্স থেকে দূরে থাকতে হবে। মানসিক রোগের শিকার হলে  দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ঘরে অস্ত্র থাকলে অবশ্য তরুণদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। পরিবারে কেউ হত্যা করলে সবাইকে কাউন্সিলিংয়ের আওতায় আনতে হবে। মানসিক রোগীদের তাড়াতাড়ি শনাক্ত, রিস্ক গ্রুপদের চিকিৎসার আওতায় আনা তরুণদের নেশার ভয়াবহতা থেকে বাঁচানো।

—ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর