শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০১ জুন, ২০২০ আপডেট:

দ্রুত অ্যান্টিবডি টেস্টিংয়ে যেতে হবে

ড. মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন
প্রিন্ট ভার্সন
দ্রুত অ্যান্টিবডি টেস্টিংয়ে যেতে হবে

 

চলমান সংক্রমণ শনাক্তকরণে ব্যবহার করা না গেলেও ভিন্ন আঙ্গিকে এটি করোনা সংক্রমণের শনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে

 

বিশ্বময় করোনা মহামারীর প্রলয়কান্ড চলছেই। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে যাত্রা শুরু করে দুনিয়ার প্রতিটি কন্দরে তার ভয়ঙ্কর থাবা ছড়িয়ে দিয়েছে। এ অদৃশ্য দানব। মাত্র পাঁচ মাস সময়ের ব্যবধানে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ বনি আদম, ঝরে গেছে পৌনে চার লাখ অমূল্য প্রাণ। এ যেন এক সর্বগ্রাসী প্লাবন, যা পুরো দুনিয়াকে গ্রাস করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দিনের পর দিন এই প্লাবনে ডুবে যাচ্ছে নিত্যনতুন এলাকা। বিশ্বের এক নম্বর পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাকাল অবস্থার যখন দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি, ইতালি ও স্পেনের মতো চরম ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের বেহাল দশা যখন সবেমাত্র তিথিয়ে আসছে, করোনা তখন নতুন করে তার জোরালো থাবা বসাতে শুরু করেছে ব্রাজিল ও রাশিয়ায়। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। করোনা মহামারীর এই যে ক্ষিপ্রগতিতে অপ্রতিরোধ্য বিস্তার তার মূলে রয়েছে এর ভয়ানক ছোঁয়াচে প্রকৃতি। আক্রান্ত ব্যক্তি ভালো মতো বুঝে উঠার আগেই তার সংস্পর্শজন থেকে বহুজনে রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই আবার আক্রান্ত হচ্ছেন তেমন কোনো উপসর্গ দেখা দেওয়া ছাড়াই। নীরবে সেরেও উঠছেন, কিন্তু এই ফাঁকে আক্রান্ত থাকাকালে তার সংস্পর্শে আসা লোকদের মধ্যে তার অজান্তেই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে এ মহামারী মোকাবিলায় বিশ্বের প্রায় সব দেশই উপদ্রুত এলাকায় লকডাউন আরোপ করেছে। উদ্দেশ্য, সংক্রমণ যেন উপদ্রুত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইসোলেট/কোয়ারেন্টিন করা যায় এবং প্রয়োজন মাফিক চিকিৎসা/পরিচর্যা দেওয়া যায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিগত দুই মাসাধিক কাল ধরে সারা দেশ একরকম লকডাউনে ছিল। সীমিত পরিসরে কিছু জরুরি সেবা চালু থাকলেও বন্ধ ছিল বেশির ভাগ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্রিয়াকান্ড, চলেনি কোনো গণপরিবহন। এরই মধ্যে দেশময় এক ধরনের অসহিষ্ণু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্তের দিন আনে দিন খায় এমন খেটে খাওয়া মানুষ। অবশেষে সরকার ৩০ জুনের পর থেকে  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের অফিস-আদালত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সীমিত পরিসরে গণপরিবহনও চালু হবে বলে জানা গেছে। আসলে এমন অবস্থা তো আর অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। আজ হোক কাল, এখান থেকে বেরিয়ে আসতেই হতো। প্রশ্ন আসতে পারে, ‘লকডাউন’ প্রত্যাহারের জন্য এটিই যথার্থ সময় ছিল কিনা? এতে সংক্রমণ আরও বিস্তৃত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হলো কিনা? পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না হয় এবং নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায় তার জন্য কী কর্মপরিকল্পনা হতে পারে? বিশ্বের অনেক দেশই এর মধ্যে লকডাউন শিথিল করেছে, তবে তা করেছে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, পরিস্থিতি যাই হোক, লকডাউন তুলে দেওয়ার জন্য একরকম গোঁ ধরেছেন, যদিও তার দেশের স্বাস্থ্যবিদরা এ ব্যাপারে তড়িঘড়ির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যাচ্ছেন। পাশের দেশ ভারতে লকডাউন শিথিল করার পর সংক্রমণের হার বাড়তে দেখা গেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও লকডাউন শিথিলের পর সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি দ্রুত আয়ত্তে নিয়ে আসতে কি করণীয় আছে, তা নির্মোহভাবে বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। করোনা মহামারী মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) শুরু থেকেই যে মৌলিক কর্মপরিকল্পনা দিয়ে এসেছে তা হলো : Test, Test & Test। অর্থাৎ যত বেশি পারুন, পরীক্ষা করুন, আক্রান্তদের খুঁজে বের করুন। কেবল এভাবেই সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে, জনসংখ্যার একটি বড় অংশে? যা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে হতে পারে ২০-৮০%? সংক্রমণের তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। বিজ্ঞানীদের জোরালো বিশ্বাস, সংক্রমণ চলাকালে নিজেদের মধ্যে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা না গেলেও এরা অন্যদের মধ্যে রোগ ছড়াতে সক্ষম। আপনি যদি সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে চান, নিয়ন্ত্রণে আনতে চান, তাহলে এসব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার একটি উপায় বের করতেই হবে। কেবল অসুস্থ বোধ করছে, এমন লোকদের পরীক্ষা করে এসব নীরব করোনাবাহীকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। আপনাকে পরীক্ষার আওতা আরও আরও বাড়াতে হবে। কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে হোক কিংবা দৈবচয়নের ভিত্তিতে, আপনাকে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ লোকদেরও পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে। অনেকেই মনে করে বসে আছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে একটি শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছার পর আপনা আপনি স্থির হয়ে আসবে, তারপর কমতে শুরু করবে। এমনটি কেবল তখনই ঘটতে পারে, যদি ইতোমধ্যে যেসব লোক সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের দ্রুত ব্যাপক ভিত্তিতে শনাক্ত করে সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানোর সময়োচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। বৈশ্বিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাউথ কোরিয়ার মতো যেসব দেশ সংক্রমিতদের ব্যাপক ভিত্তিক শনাক্তকরণের ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভালো সাফল্য অর্জন করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি কিংবা স্পেনের মতো যেসব দেশ দেরিতে তৎপর হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ সমাজের ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। ফলে, তারা পরবর্তীতে শনাক্তকরণের সংখ্যা বিপুলভাবে বাড়িয়েও সংক্রমণের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিল না। এ কারণে বিশ্বময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এবং সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা করোনা শনাক্তকরণের এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবনের নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন যা খুব দ্রুত সুনির্দিষ্টভাবে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।

ইতিপূর্বেকার করোনা গোত্রীয় সার্স/মার্স এসব মহামারী মোকাবিলা থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার আলোকে বিশ্বময় সব দেশই করোনা শনাক্তকরণে আরটি-পিসিআর পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে আসছিল। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তকরণে এ পদ্ধতিটিই অনুসৃত হচ্ছে। শুরুর দিকে টেস্টিং সামর্থ্য খুব সীমিত থাকলেও এখন বিভিন্ন হাসপাতাল, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি মিলিয়ে ৪৮টি ল্যাবে আরটি-পিসিআর টেস্ট চলছে এবং প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে। আমরা এখনো অন্য কোনো পদ্ধতি বিবেচনায় নিইনি। আরটি-পিসিআর পদ্ধতিটি খুবই সুনির্দিষ্ট (specific) এবং সংবেদনশীল (sensitive), করোনা শনাক্তকরণে এখন পর্যন্ত আর কোনো পদ্ধতিই এর চেয়ে ভালো কাজ করে বলে প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে টেস্টিংয়ের আওতায় আনতে হলে শুধু এই একটি পদ্ধতির ওপর নির্ভর করা চলবে কিনা। আমেরিকা, ইউরোপ, এমনকি পাশের দেশ ভারতের দিকেও যদি তাকান, আপনি দেখতে পাবেন, তারা অনেক আগেই বিকল্প পদ্ধতির দিকে হাত বাড়িয়েছে। খোদ মার্কিন মুলুকে অনেক চেষ্টা করেও আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষার সংখ্যা দৈনিক দুই থেকে আড়াই লাখের উপরে উঠানো যাচ্ছিল না। আর ওদিকে স্বাস্থ্যবিদরা চেঁচিয়ে যাচ্ছিলেন, স্কুল-কলেজ, ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় চালু করার আগে প্রত্যেককে পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে, দৈনিক টেস্টের সংখ্যা কয়েক মিলিয়নে উন্নীত করতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে বিকল্প হিসেবে যেসব পরীক্ষা পদ্ধতি বিবেচনায় এসেছে, তা নতুন কিছু নয়। এর আগে সার্স/মার্সের মতো ভাইরাসজনিত রোগেও এগুলো ব্যবহৃত হয়েছে। এসব পরীক্ষায় রোগীর কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনায় করোনাভাইরাস দেহের কোনো এন্টিজেনিক প্রোটিন কিংবা এর বিরুদ্ধে মানবদেহে যেসব এন্টিবডি তৈরি হয়, তা শনাক্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাধারণভাবে এসব পরীক্ষা পদ্ধতিকে immunoassay নামে আখ্যায়িত করা হয়। আরটি-পিসিআরের ক্ষেত্রে যেখানে একটি টেস্ট রান করাতে কয়েক ঘন্টা লেগে যায়, সেখানে এ সব টেস্ট এমনভাবে ডিজাইন করা সম্ভব যাতে আপনি মিনিট পনেরোর মধ্যেই রেজাল্ট পেয়ে যাবেন। টেস্টগুলো খুবই সহজ প্রকৃতির, পয়েন্ট অব কেয়ার (POC) অর্থাৎ রোগীর বাসা, অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তারের চেম্বার, ক্লিনিক কিংবা হাসপাতাল? যখন যেখানে রোগীর পরীক্ষা করা হচ্ছে সরাসরি সেখানেই? পরীক্ষার ফল পাওয়া সম্ভব। নমুনা সংগ্রহ করে আলাদা কোনো ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো লাগে না। এছাড়া, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে মেশিনের দাম, বিশেষ ধরনের ল্যাব সেট-আপ এবং নমুনা সংগ্রহ, প্রসেসিং ও পরীক্ষা পরিচালনার জন্য দক্ষ টেকনিশিয়ানের প্রয়োজনীয়তা? এসব মিলিয়ে পরীক্ষা প্রতি খরচটাও অনেক পড়ে যায়।

এন্টিবডি টেস্টিং আপনার কাছে অধিকতর আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। কারণ, এখানে নমুনা হিসেবে দরকার কেবল অল্প একটু রক্ত, যা এমনকি সুঁই দিয়ে আঙ্গুল ফুঁটো করে রোগী নিজেই দিতে পারেন। পিসিআর টেস্টের জন্য সোয়াব ব্যবহার করে যে প্রক্রিয়ায় নাসারন্ধ্রের পেছনে ফ্যারিংস (pharynx) থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে হয়, তার জন্য দক্ষ হাতের প্রয়োজন তো আছেই, রোগীর জন্যও তা আরামপ্রদ নয়। তবে এন্টিবডি টেস্টের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো, এ পদ্ধতিতে সরাসরি ভাইরাস বা ভাইরাসের কোনো উপাদান নয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শরীর যে সব এন্টিবডি তৈরি করে তা শনাক্ত করা হয়। সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে যখন সবে শরীরে করোনাবিরোধী এন্টিবডিসমূহ তৈরি হচ্ছে, তখন এসব এন্টিবডি শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ধরা নাও পড়তে পারে।  এ কারণে এন্টিবডি টেস্ট চলমান সংক্রমণ (current infection) শনাক্তকরণের একমাত্র ভিত্তি হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ নেই। [EUA Authorized Serology Test Performance FDA, 26 May 2020] বিপরীতে, এন্টিজেন টেস্টে পিসিআরের ন্যায় ন্যাসাল/ওরাল সোয়াব নমুনা হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে জেনেটিক মেটেরিয়াল (RNA)-এর পরিবর্তে এখানে ভাইরাসের প্রোটিন শনাক্ত করা হয়। দেখা গেছে, এ ধরনের পরীক্ষা আরটি-পিসিআরের প্রায় সমপর্যায়ের স্পেসিফিসিটি দেখাতে সক্ষম, কিন্তু সেনসিটিভিটি তুলনামূলকভাবে কম। এর কারণ, আরটি-পিসিআর ভাইরাসের জেনেটিক মেটেরিয়ালকে বিবর্ধিত (amplify) করে, ফলে সংগৃহীত নমুনায় ভাইরাস পরিমাণে নগণ্য হলেও শনাক্ত করতে পারে। এন্টিজেন টেস্টে ভাইরাসের প্রোটিনকে বিবর্ধিত করার সেরূপ কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে নমুনায় ভাইরাসের পরিমাণ কম হলে এটি আর শনাক্ত করতে পারে না। কাজেই, এ টেস্টে রেজাল্ট যদি পজিটিভ আসে তা নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায়, তবে নেগেটিভ হলে তা ‘False -Ve’-ও হতে পারে। কাজেই, রোগীর যদি সুস্পষ্ট করোনা উপসর্গ থাকে, রেজাল্ট নেগেটিভ হলে RT-PCR দিয়ে তার নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সেনসিটিভিটির মানদন্ডে আরটি-পিসিআরের চেয়ে কিছুটা নিম্নমার্গের হলেও এ পরীক্ষাতে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় যে বিপুল গতি সঞ্চারের সম্ভাবনা নিহিত, তার কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পদ্ধতির ব্যাপারে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। উদাহরণ হিসেবে এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপক ও বিশেষজ্ঞের মন্তব্য উদ্ধৃত করা হলো। গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউস করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের প্রধান ডা. দেবোরাহ বার্ক্স এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘নিউক্লিয়িক এসিড টেস্টের মাধ্যমে দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন পরীক্ষা করা কিংবা কাজে বা স্কুলে ফেরার আগে প্রতিটি ব্যক্তিকে পরীক্ষার আওতায় আনার সামর্থ্য অর্জন কখনই সম্ভবপর হবে না। তবে এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে এটা সম্ভবপর হতে পারে।’ [CBS News, 09 May 2020] করোনা শনাক্তকরণের জন্য প্রথম কোনো এন্টিজেন টেস্টিং কিট হিসেবে কুইডেল করপোরেশনের Sofia 2 SARS Antigen FIA নামীয় কিটের ইউএস এফডিএ কর্তৃক জরুরি অনুমোদন (EUA) দেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় হার্ভার্ড গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. আশিস ঝা বলেন, ‘এন্টিজেন টেস্টিংয়ের ব্যাপারে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত, কারণ এ পদ্ধতিতে দৈনিক টেস্টের সংখ্যা কয়েক মিলিয়নে উন্নীত করার সামর্থ্য রয়েছে। তাছাড়া এতে অনেক দ্রুতগতিতে কাজ হবে। আমরা অনেকেই এ মুহূর্তটির প্রতীক্ষায় ছিলাম।’

[The New York Times, 09 May 2020] এফডিএ-এর সাবেক প্রধান স্কট গটলিয়েভ এ ঘটনাকে ‘সত্যিকারের গেম-চেঞ্জার’ বলে অভিহিত করেন। এন্টিবডি টেস্টিং করোনার চলমান সংক্রমণ শনাক্তকরণে ব্যবহার করা না গেলেও ভিন্ন আঙ্গিকে এটি করোনা সংক্রমণের শনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কোনো ব্যক্তি আগে সংক্রমিত হয়েছিল কিনা এই টেস্টের মাধ্যমে আমরা তা নির্ধারণ করতে পারি। এ বিষয়টির দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে। প্রথমত: এন্টিবডি তৈরি মূলত অণুজীবের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়ার একটি অংশ। কাজেই, কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাবিরোধী এন্টিবডি শনাক্ত হলে আপনি ধরে নিতে পারেন তার মধ্যে একরকম প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে যা তাকে পুনঃসংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। এ বিষয়টি একজন ব্যক্তিকে নির্ভয়ে তার কাজে ফিরতে উৎসাহ জোগাতে পারে। এটি ডাক্তার, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তাদের সব সময় রোগী নিয়ে কাজ করতে হয় বলে তারা অনেক বেশি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকেন। তবে সাধারণভাবে বিষয়টি সত্য হলেও এন্টিবডি তৈরির ফলে পুনরায় করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কতটুকু প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয় এবং তা কতদিন স্থায়ী হতে পারে এ বিষয়ে এখনো সম্যক ধারণা পাওয়া যায়নি। কিছু দেশ যেসব লোকের দেহে করোনাবিরোধী এন্টিবডি পাওয়া গেছে তাদের ‘immunity passport’ ev ‘risk-free certificate’ ইস্যুর কথা ভাবছিল, যাতে তারা এখানে সেখানে যেতে পারেন কিংবা কাজে ফিরতে পারেন।

২৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক সায়েন্টিফিক ব্রিফে এ প্রসঙ্গে সতর্কবাণী দিয়ে বলে, ‘এখন পর্যন্ত যেসব লোক Covid-19 থেকে সেরে উঠেছেন এবং শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে, তারা পুনঃ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ এখানে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো, যেহেতু এন্টিবডি টেস্টিংয়ের মাধ্যমে, উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকুক বা না থাকুক, অতীতে সংক্রমিত হয়েছে এমন সবাইকে শনাক্ত করা সম্ভব, দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাছাই করে জনসাধারণের অংশবিশেষের ওপর পরীক্ষা (serosurvey) চালিয়ে কোনো একটি জায়গায় সংক্রমণের ব্যাপ্তির সঠিক চিত্র পাওয়া সম্ভব। এতে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংক্রমণের ব্যাপকতার একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে এবং সে মোতাবেক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় পরিচর্যার জন্য সক্রিয় পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা যাবে। বিশেষ করে সংক্রমণের ‘হট স্পটগুলো’ চিহ্নিত করা গেলে প্রাধিকার ভিত্তিতে আপনার মনোযোগ ওখানে নিবদ্ধ করা সম্ভবপর হবে। এখানে এন্টিবডি টেস্টের আরেকটি সম্ভাব্য দুর্বলতার কথা উল্লেখ করা সমীচীন হবে। এই টেস্ট ভুলক্রমে সমগোত্রীয় অন্য কোনো করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সৃষ্ট এন্টিবডিকে নভেল করোনার এন্টিবডি হিসেবে শনাক্ত করতে পারে (false+ve)। বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যায়, বিশ্ববাজার এরকম বহু ত্রুটিপূর্ণ কিটে সয়লাব হয়ে গেছে। এ কারণে টেস্টিং কিটটি যথেষ্ট স্পেসিফিক কিনা তা ভালোভাবে পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।

লেখক : অধ্যাপক, ফার্মেসি বিভাগ, জাবি।

এই বিভাগের আরও খবর
জেনে রাখা ভালো
জেনে রাখা ভালো
ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে কিছু কথা
ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে কিছু কথা
টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব
টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব
নিমপাতার গুণাগুণ
নিমপাতার গুণাগুণ
পায়ুপথে তীব্র ব্যথা হলে
পায়ুপথে তীব্র ব্যথা হলে
অ্যাজমা বা হাঁপানি কি ছোঁয়াচে?
অ্যাজমা বা হাঁপানি কি ছোঁয়াচে?
আনারসের পুষ্টিগুণ
আনারসের পুষ্টিগুণ
নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
পেয়ারার গুণাগুণ
পেয়ারার গুণাগুণ
হাঁপানির কারণ ও প্রতিকার
হাঁপানির কারণ ও প্রতিকার
হেপাটাইটিস ভাইরাস
হেপাটাইটিস ভাইরাস
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে
সর্বশেষ খবর
জনগণ হচ্ছে এ দেশের মূল শক্তি : আবুল খায়ের ভূঁইয়া
জনগণ হচ্ছে এ দেশের মূল শক্তি : আবুল খায়ের ভূঁইয়া

৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

৬ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করছে সরকার
৬ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করছে সরকার

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৬৪৯ জন
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৬৪৯ জন

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ জাপানের
চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ জাপানের

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নৌকাসহ ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড
নৌকাসহ ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে আনন্দ র‌্যালি
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে আনন্দ র‌্যালি

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এমবিবিএস ডাক্তারের টেবিলের ড্রয়ারে মিলল ইয়াবা
এমবিবিএস ডাক্তারের টেবিলের ড্রয়ারে মিলল ইয়াবা

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ
লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্যহাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্যহাতির মৃত্যু

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লামায় পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে বাধা: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লামায় পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে বাধা: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৩২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

চাঁদপুরে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১
চাঁদপুরে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ
লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তথ্য ও অর্থনীতি নিয়ে গুগল প্রধানের সতর্কতা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তথ্য ও অর্থনীতি নিয়ে গুগল প্রধানের সতর্কতা

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলালিংকের নতুন সিএমও কাজী মাহবুব হাসান
বাংলালিংকের নতুন সিএমও কাজী মাহবুব হাসান

৩৯ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে অভিযান

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খুলনার নতুন জেলা প্রশাসক জামশেদ খোন্দকারের যোগদান
খুলনার নতুন জেলা প্রশাসক জামশেদ খোন্দকারের যোগদান

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতীয়দের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ স্থগিত করল ইরান
ভারতীয়দের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ স্থগিত করল ইরান

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা চেয়ে এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি
শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা চেয়ে এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স

৫৫ মিনিট আগে | শোবিজ

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কিবরিয়াকে হত্যা : নয়ন
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কিবরিয়াকে হত্যা : নয়ন

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি
রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

৫৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘প্রেস ফাইভ’-এর আত্মপ্রকাশ
লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘প্রেস ফাইভ’-এর আত্মপ্রকাশ

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নায়িকাকে জড়িয়ে ধরায় কারাদণ্ড
নায়িকাকে জড়িয়ে ধরায় কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৫
পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শান্ত, কড়া পাহারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শান্ত, কড়া পাহারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে