শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০১ জুন, ২০২০ আপডেট:

দ্রুত অ্যান্টিবডি টেস্টিংয়ে যেতে হবে

ড. মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন
প্রিন্ট ভার্সন
দ্রুত অ্যান্টিবডি টেস্টিংয়ে যেতে হবে

 

চলমান সংক্রমণ শনাক্তকরণে ব্যবহার করা না গেলেও ভিন্ন আঙ্গিকে এটি করোনা সংক্রমণের শনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে

 

বিশ্বময় করোনা মহামারীর প্রলয়কান্ড চলছেই। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে যাত্রা শুরু করে দুনিয়ার প্রতিটি কন্দরে তার ভয়ঙ্কর থাবা ছড়িয়ে দিয়েছে। এ অদৃশ্য দানব। মাত্র পাঁচ মাস সময়ের ব্যবধানে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ বনি আদম, ঝরে গেছে পৌনে চার লাখ অমূল্য প্রাণ। এ যেন এক সর্বগ্রাসী প্লাবন, যা পুরো দুনিয়াকে গ্রাস করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দিনের পর দিন এই প্লাবনে ডুবে যাচ্ছে নিত্যনতুন এলাকা। বিশ্বের এক নম্বর পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাকাল অবস্থার যখন দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি, ইতালি ও স্পেনের মতো চরম ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের বেহাল দশা যখন সবেমাত্র তিথিয়ে আসছে, করোনা তখন নতুন করে তার জোরালো থাবা বসাতে শুরু করেছে ব্রাজিল ও রাশিয়ায়। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। করোনা মহামারীর এই যে ক্ষিপ্রগতিতে অপ্রতিরোধ্য বিস্তার তার মূলে রয়েছে এর ভয়ানক ছোঁয়াচে প্রকৃতি। আক্রান্ত ব্যক্তি ভালো মতো বুঝে উঠার আগেই তার সংস্পর্শজন থেকে বহুজনে রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই আবার আক্রান্ত হচ্ছেন তেমন কোনো উপসর্গ দেখা দেওয়া ছাড়াই। নীরবে সেরেও উঠছেন, কিন্তু এই ফাঁকে আক্রান্ত থাকাকালে তার সংস্পর্শে আসা লোকদের মধ্যে তার অজান্তেই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে এ মহামারী মোকাবিলায় বিশ্বের প্রায় সব দেশই উপদ্রুত এলাকায় লকডাউন আরোপ করেছে। উদ্দেশ্য, সংক্রমণ যেন উপদ্রুত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইসোলেট/কোয়ারেন্টিন করা যায় এবং প্রয়োজন মাফিক চিকিৎসা/পরিচর্যা দেওয়া যায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিগত দুই মাসাধিক কাল ধরে সারা দেশ একরকম লকডাউনে ছিল। সীমিত পরিসরে কিছু জরুরি সেবা চালু থাকলেও বন্ধ ছিল বেশির ভাগ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্রিয়াকান্ড, চলেনি কোনো গণপরিবহন। এরই মধ্যে দেশময় এক ধরনের অসহিষ্ণু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্তের দিন আনে দিন খায় এমন খেটে খাওয়া মানুষ। অবশেষে সরকার ৩০ জুনের পর থেকে  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের অফিস-আদালত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সীমিত পরিসরে গণপরিবহনও চালু হবে বলে জানা গেছে। আসলে এমন অবস্থা তো আর অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। আজ হোক কাল, এখান থেকে বেরিয়ে আসতেই হতো। প্রশ্ন আসতে পারে, ‘লকডাউন’ প্রত্যাহারের জন্য এটিই যথার্থ সময় ছিল কিনা? এতে সংক্রমণ আরও বিস্তৃত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হলো কিনা? পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না হয় এবং নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায় তার জন্য কী কর্মপরিকল্পনা হতে পারে? বিশ্বের অনেক দেশই এর মধ্যে লকডাউন শিথিল করেছে, তবে তা করেছে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, পরিস্থিতি যাই হোক, লকডাউন তুলে দেওয়ার জন্য একরকম গোঁ ধরেছেন, যদিও তার দেশের স্বাস্থ্যবিদরা এ ব্যাপারে তড়িঘড়ির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যাচ্ছেন। পাশের দেশ ভারতে লকডাউন শিথিল করার পর সংক্রমণের হার বাড়তে দেখা গেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও লকডাউন শিথিলের পর সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি দ্রুত আয়ত্তে নিয়ে আসতে কি করণীয় আছে, তা নির্মোহভাবে বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। করোনা মহামারী মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) শুরু থেকেই যে মৌলিক কর্মপরিকল্পনা দিয়ে এসেছে তা হলো : Test, Test & Test। অর্থাৎ যত বেশি পারুন, পরীক্ষা করুন, আক্রান্তদের খুঁজে বের করুন। কেবল এভাবেই সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে, জনসংখ্যার একটি বড় অংশে? যা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে হতে পারে ২০-৮০%? সংক্রমণের তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। বিজ্ঞানীদের জোরালো বিশ্বাস, সংক্রমণ চলাকালে নিজেদের মধ্যে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা না গেলেও এরা অন্যদের মধ্যে রোগ ছড়াতে সক্ষম। আপনি যদি সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে চান, নিয়ন্ত্রণে আনতে চান, তাহলে এসব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার একটি উপায় বের করতেই হবে। কেবল অসুস্থ বোধ করছে, এমন লোকদের পরীক্ষা করে এসব নীরব করোনাবাহীকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। আপনাকে পরীক্ষার আওতা আরও আরও বাড়াতে হবে। কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে হোক কিংবা দৈবচয়নের ভিত্তিতে, আপনাকে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ লোকদেরও পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে। অনেকেই মনে করে বসে আছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে একটি শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছার পর আপনা আপনি স্থির হয়ে আসবে, তারপর কমতে শুরু করবে। এমনটি কেবল তখনই ঘটতে পারে, যদি ইতোমধ্যে যেসব লোক সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের দ্রুত ব্যাপক ভিত্তিতে শনাক্ত করে সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানোর সময়োচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। বৈশ্বিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাউথ কোরিয়ার মতো যেসব দেশ সংক্রমিতদের ব্যাপক ভিত্তিক শনাক্তকরণের ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভালো সাফল্য অর্জন করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি কিংবা স্পেনের মতো যেসব দেশ দেরিতে তৎপর হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ সমাজের ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। ফলে, তারা পরবর্তীতে শনাক্তকরণের সংখ্যা বিপুলভাবে বাড়িয়েও সংক্রমণের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিল না। এ কারণে বিশ্বময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এবং সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা করোনা শনাক্তকরণের এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবনের নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন যা খুব দ্রুত সুনির্দিষ্টভাবে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।

ইতিপূর্বেকার করোনা গোত্রীয় সার্স/মার্স এসব মহামারী মোকাবিলা থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার আলোকে বিশ্বময় সব দেশই করোনা শনাক্তকরণে আরটি-পিসিআর পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে আসছিল। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তকরণে এ পদ্ধতিটিই অনুসৃত হচ্ছে। শুরুর দিকে টেস্টিং সামর্থ্য খুব সীমিত থাকলেও এখন বিভিন্ন হাসপাতাল, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি মিলিয়ে ৪৮টি ল্যাবে আরটি-পিসিআর টেস্ট চলছে এবং প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে। আমরা এখনো অন্য কোনো পদ্ধতি বিবেচনায় নিইনি। আরটি-পিসিআর পদ্ধতিটি খুবই সুনির্দিষ্ট (specific) এবং সংবেদনশীল (sensitive), করোনা শনাক্তকরণে এখন পর্যন্ত আর কোনো পদ্ধতিই এর চেয়ে ভালো কাজ করে বলে প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে টেস্টিংয়ের আওতায় আনতে হলে শুধু এই একটি পদ্ধতির ওপর নির্ভর করা চলবে কিনা। আমেরিকা, ইউরোপ, এমনকি পাশের দেশ ভারতের দিকেও যদি তাকান, আপনি দেখতে পাবেন, তারা অনেক আগেই বিকল্প পদ্ধতির দিকে হাত বাড়িয়েছে। খোদ মার্কিন মুলুকে অনেক চেষ্টা করেও আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষার সংখ্যা দৈনিক দুই থেকে আড়াই লাখের উপরে উঠানো যাচ্ছিল না। আর ওদিকে স্বাস্থ্যবিদরা চেঁচিয়ে যাচ্ছিলেন, স্কুল-কলেজ, ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় চালু করার আগে প্রত্যেককে পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে, দৈনিক টেস্টের সংখ্যা কয়েক মিলিয়নে উন্নীত করতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে বিকল্প হিসেবে যেসব পরীক্ষা পদ্ধতি বিবেচনায় এসেছে, তা নতুন কিছু নয়। এর আগে সার্স/মার্সের মতো ভাইরাসজনিত রোগেও এগুলো ব্যবহৃত হয়েছে। এসব পরীক্ষায় রোগীর কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনায় করোনাভাইরাস দেহের কোনো এন্টিজেনিক প্রোটিন কিংবা এর বিরুদ্ধে মানবদেহে যেসব এন্টিবডি তৈরি হয়, তা শনাক্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাধারণভাবে এসব পরীক্ষা পদ্ধতিকে immunoassay নামে আখ্যায়িত করা হয়। আরটি-পিসিআরের ক্ষেত্রে যেখানে একটি টেস্ট রান করাতে কয়েক ঘন্টা লেগে যায়, সেখানে এ সব টেস্ট এমনভাবে ডিজাইন করা সম্ভব যাতে আপনি মিনিট পনেরোর মধ্যেই রেজাল্ট পেয়ে যাবেন। টেস্টগুলো খুবই সহজ প্রকৃতির, পয়েন্ট অব কেয়ার (POC) অর্থাৎ রোগীর বাসা, অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তারের চেম্বার, ক্লিনিক কিংবা হাসপাতাল? যখন যেখানে রোগীর পরীক্ষা করা হচ্ছে সরাসরি সেখানেই? পরীক্ষার ফল পাওয়া সম্ভব। নমুনা সংগ্রহ করে আলাদা কোনো ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো লাগে না। এছাড়া, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে মেশিনের দাম, বিশেষ ধরনের ল্যাব সেট-আপ এবং নমুনা সংগ্রহ, প্রসেসিং ও পরীক্ষা পরিচালনার জন্য দক্ষ টেকনিশিয়ানের প্রয়োজনীয়তা? এসব মিলিয়ে পরীক্ষা প্রতি খরচটাও অনেক পড়ে যায়।

এন্টিবডি টেস্টিং আপনার কাছে অধিকতর আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। কারণ, এখানে নমুনা হিসেবে দরকার কেবল অল্প একটু রক্ত, যা এমনকি সুঁই দিয়ে আঙ্গুল ফুঁটো করে রোগী নিজেই দিতে পারেন। পিসিআর টেস্টের জন্য সোয়াব ব্যবহার করে যে প্রক্রিয়ায় নাসারন্ধ্রের পেছনে ফ্যারিংস (pharynx) থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে হয়, তার জন্য দক্ষ হাতের প্রয়োজন তো আছেই, রোগীর জন্যও তা আরামপ্রদ নয়। তবে এন্টিবডি টেস্টের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো, এ পদ্ধতিতে সরাসরি ভাইরাস বা ভাইরাসের কোনো উপাদান নয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শরীর যে সব এন্টিবডি তৈরি করে তা শনাক্ত করা হয়। সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে যখন সবে শরীরে করোনাবিরোধী এন্টিবডিসমূহ তৈরি হচ্ছে, তখন এসব এন্টিবডি শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ধরা নাও পড়তে পারে।  এ কারণে এন্টিবডি টেস্ট চলমান সংক্রমণ (current infection) শনাক্তকরণের একমাত্র ভিত্তি হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ নেই। [EUA Authorized Serology Test Performance FDA, 26 May 2020] বিপরীতে, এন্টিজেন টেস্টে পিসিআরের ন্যায় ন্যাসাল/ওরাল সোয়াব নমুনা হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে জেনেটিক মেটেরিয়াল (RNA)-এর পরিবর্তে এখানে ভাইরাসের প্রোটিন শনাক্ত করা হয়। দেখা গেছে, এ ধরনের পরীক্ষা আরটি-পিসিআরের প্রায় সমপর্যায়ের স্পেসিফিসিটি দেখাতে সক্ষম, কিন্তু সেনসিটিভিটি তুলনামূলকভাবে কম। এর কারণ, আরটি-পিসিআর ভাইরাসের জেনেটিক মেটেরিয়ালকে বিবর্ধিত (amplify) করে, ফলে সংগৃহীত নমুনায় ভাইরাস পরিমাণে নগণ্য হলেও শনাক্ত করতে পারে। এন্টিজেন টেস্টে ভাইরাসের প্রোটিনকে বিবর্ধিত করার সেরূপ কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে নমুনায় ভাইরাসের পরিমাণ কম হলে এটি আর শনাক্ত করতে পারে না। কাজেই, এ টেস্টে রেজাল্ট যদি পজিটিভ আসে তা নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায়, তবে নেগেটিভ হলে তা ‘False -Ve’-ও হতে পারে। কাজেই, রোগীর যদি সুস্পষ্ট করোনা উপসর্গ থাকে, রেজাল্ট নেগেটিভ হলে RT-PCR দিয়ে তার নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সেনসিটিভিটির মানদন্ডে আরটি-পিসিআরের চেয়ে কিছুটা নিম্নমার্গের হলেও এ পরীক্ষাতে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় যে বিপুল গতি সঞ্চারের সম্ভাবনা নিহিত, তার কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পদ্ধতির ব্যাপারে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। উদাহরণ হিসেবে এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপক ও বিশেষজ্ঞের মন্তব্য উদ্ধৃত করা হলো। গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউস করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের প্রধান ডা. দেবোরাহ বার্ক্স এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘নিউক্লিয়িক এসিড টেস্টের মাধ্যমে দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন পরীক্ষা করা কিংবা কাজে বা স্কুলে ফেরার আগে প্রতিটি ব্যক্তিকে পরীক্ষার আওতায় আনার সামর্থ্য অর্জন কখনই সম্ভবপর হবে না। তবে এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে এটা সম্ভবপর হতে পারে।’ [CBS News, 09 May 2020] করোনা শনাক্তকরণের জন্য প্রথম কোনো এন্টিজেন টেস্টিং কিট হিসেবে কুইডেল করপোরেশনের Sofia 2 SARS Antigen FIA নামীয় কিটের ইউএস এফডিএ কর্তৃক জরুরি অনুমোদন (EUA) দেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় হার্ভার্ড গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. আশিস ঝা বলেন, ‘এন্টিজেন টেস্টিংয়ের ব্যাপারে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত, কারণ এ পদ্ধতিতে দৈনিক টেস্টের সংখ্যা কয়েক মিলিয়নে উন্নীত করার সামর্থ্য রয়েছে। তাছাড়া এতে অনেক দ্রুতগতিতে কাজ হবে। আমরা অনেকেই এ মুহূর্তটির প্রতীক্ষায় ছিলাম।’

[The New York Times, 09 May 2020] এফডিএ-এর সাবেক প্রধান স্কট গটলিয়েভ এ ঘটনাকে ‘সত্যিকারের গেম-চেঞ্জার’ বলে অভিহিত করেন। এন্টিবডি টেস্টিং করোনার চলমান সংক্রমণ শনাক্তকরণে ব্যবহার করা না গেলেও ভিন্ন আঙ্গিকে এটি করোনা সংক্রমণের শনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কোনো ব্যক্তি আগে সংক্রমিত হয়েছিল কিনা এই টেস্টের মাধ্যমে আমরা তা নির্ধারণ করতে পারি। এ বিষয়টির দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে। প্রথমত: এন্টিবডি তৈরি মূলত অণুজীবের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়ার একটি অংশ। কাজেই, কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাবিরোধী এন্টিবডি শনাক্ত হলে আপনি ধরে নিতে পারেন তার মধ্যে একরকম প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে যা তাকে পুনঃসংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। এ বিষয়টি একজন ব্যক্তিকে নির্ভয়ে তার কাজে ফিরতে উৎসাহ জোগাতে পারে। এটি ডাক্তার, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তাদের সব সময় রোগী নিয়ে কাজ করতে হয় বলে তারা অনেক বেশি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকেন। তবে সাধারণভাবে বিষয়টি সত্য হলেও এন্টিবডি তৈরির ফলে পুনরায় করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কতটুকু প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয় এবং তা কতদিন স্থায়ী হতে পারে এ বিষয়ে এখনো সম্যক ধারণা পাওয়া যায়নি। কিছু দেশ যেসব লোকের দেহে করোনাবিরোধী এন্টিবডি পাওয়া গেছে তাদের ‘immunity passport’ ev ‘risk-free certificate’ ইস্যুর কথা ভাবছিল, যাতে তারা এখানে সেখানে যেতে পারেন কিংবা কাজে ফিরতে পারেন।

২৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক সায়েন্টিফিক ব্রিফে এ প্রসঙ্গে সতর্কবাণী দিয়ে বলে, ‘এখন পর্যন্ত যেসব লোক Covid-19 থেকে সেরে উঠেছেন এবং শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে, তারা পুনঃ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ এখানে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো, যেহেতু এন্টিবডি টেস্টিংয়ের মাধ্যমে, উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকুক বা না থাকুক, অতীতে সংক্রমিত হয়েছে এমন সবাইকে শনাক্ত করা সম্ভব, দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাছাই করে জনসাধারণের অংশবিশেষের ওপর পরীক্ষা (serosurvey) চালিয়ে কোনো একটি জায়গায় সংক্রমণের ব্যাপ্তির সঠিক চিত্র পাওয়া সম্ভব। এতে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংক্রমণের ব্যাপকতার একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে এবং সে মোতাবেক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় পরিচর্যার জন্য সক্রিয় পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা যাবে। বিশেষ করে সংক্রমণের ‘হট স্পটগুলো’ চিহ্নিত করা গেলে প্রাধিকার ভিত্তিতে আপনার মনোযোগ ওখানে নিবদ্ধ করা সম্ভবপর হবে। এখানে এন্টিবডি টেস্টের আরেকটি সম্ভাব্য দুর্বলতার কথা উল্লেখ করা সমীচীন হবে। এই টেস্ট ভুলক্রমে সমগোত্রীয় অন্য কোনো করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সৃষ্ট এন্টিবডিকে নভেল করোনার এন্টিবডি হিসেবে শনাক্ত করতে পারে (false+ve)। বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যায়, বিশ্ববাজার এরকম বহু ত্রুটিপূর্ণ কিটে সয়লাব হয়ে গেছে। এ কারণে টেস্টিং কিটটি যথেষ্ট স্পেসিফিক কিনা তা ভালোভাবে পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।

লেখক : অধ্যাপক, ফার্মেসি বিভাগ, জাবি।

এই বিভাগের আরও খবর
জেনে রাখা ভালো
জেনে রাখা ভালো
ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে কিছু কথা
ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে কিছু কথা
টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব
টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব
নিমপাতার গুণাগুণ
নিমপাতার গুণাগুণ
পায়ুপথে তীব্র ব্যথা হলে
পায়ুপথে তীব্র ব্যথা হলে
অ্যাজমা বা হাঁপানি কি ছোঁয়াচে?
অ্যাজমা বা হাঁপানি কি ছোঁয়াচে?
আনারসের পুষ্টিগুণ
আনারসের পুষ্টিগুণ
নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
পেয়ারার গুণাগুণ
পেয়ারার গুণাগুণ
হাঁপানির কারণ ও প্রতিকার
হাঁপানির কারণ ও প্রতিকার
হেপাটাইটিস ভাইরাস
হেপাটাইটিস ভাইরাস
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে
সর্বশেষ খবর
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

২ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ
সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

‘কালমেগির’ পর ফিলিপাইনে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফাং-ওয়ং’
‘কালমেগির’ পর ফিলিপাইনে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফাং-ওয়ং’

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেয়েরা দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : আসিফ নজরুল
কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেয়েরা দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : আসিফ নজরুল

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ছিনতাইকারীদের ধাক্কায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবক আহত
ছিনতাইকারীদের ধাক্কায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবক আহত

২০ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘শুভসংঘের ছোলগুল্যাই হামাঘরে আত্মীয়-স্বজন’
‘শুভসংঘের ছোলগুল্যাই হামাঘরে আত্মীয়-স্বজন’

৩০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বসুন্ধরা শুভসংঘ ভাটারা থানা শাখার আয়োজনে ক্যারম প্রতিযোগিতা
বসুন্ধরা শুভসংঘ ভাটারা থানা শাখার আয়োজনে ক্যারম প্রতিযোগিতা

৩৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

জামালপুরে ৬শ দৌড়বিদের অংশগ্রহণে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
জামালপুরে ৬শ দৌড়বিদের অংশগ্রহণে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে উদ্বেগ জানিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে উদ্বেগ জানিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নগরকান্দার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
নগরকান্দার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনআইডি ও ভোটার তালিকা নিয়ে ইসির সভা রবিবার
এনআইডি ও ভোটার তালিকা নিয়ে ইসির সভা রবিবার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে মাঠ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইদহে মাঠ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাদারীপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেফতার
মাদারীপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এখনই হাসপাতাল ছাড়ছেন না ক্যাটরিনা কাইফ
এখনই হাসপাতাল ছাড়ছেন না ক্যাটরিনা কাইফ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কানাডার ক্যালগেরিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
কানাডার ক্যালগেরিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নোয়াখালীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নোয়াখালীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যালোভেরার যত গুণ
অ্যালোভেরার যত গুণ

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নিজ বাড়ির সামনে ব‍্যবসায়ীকে দা-চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা
নিজ বাড়ির সামনে ব‍্যবসায়ীকে দা-চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনা স্থগিত, পাল্টাপাল্টি হামলার শঙ্কা
আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনা স্থগিত, পাল্টাপাল্টি হামলার শঙ্কা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল তিন বন্ধুর
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল তিন বন্ধুর

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

কালের সাক্ষী তমাল গাছটি
কালের সাক্ষী তমাল গাছটি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম