শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০১ জুন, ২০২০ আপডেট:

দ্রুত অ্যান্টিবডি টেস্টিংয়ে যেতে হবে

ড. মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন
প্রিন্ট ভার্সন
দ্রুত অ্যান্টিবডি টেস্টিংয়ে যেতে হবে

 

চলমান সংক্রমণ শনাক্তকরণে ব্যবহার করা না গেলেও ভিন্ন আঙ্গিকে এটি করোনা সংক্রমণের শনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে

 

বিশ্বময় করোনা মহামারীর প্রলয়কান্ড চলছেই। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে যাত্রা শুরু করে দুনিয়ার প্রতিটি কন্দরে তার ভয়ঙ্কর থাবা ছড়িয়ে দিয়েছে। এ অদৃশ্য দানব। মাত্র পাঁচ মাস সময়ের ব্যবধানে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ বনি আদম, ঝরে গেছে পৌনে চার লাখ অমূল্য প্রাণ। এ যেন এক সর্বগ্রাসী প্লাবন, যা পুরো দুনিয়াকে গ্রাস করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দিনের পর দিন এই প্লাবনে ডুবে যাচ্ছে নিত্যনতুন এলাকা। বিশ্বের এক নম্বর পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাকাল অবস্থার যখন দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি, ইতালি ও স্পেনের মতো চরম ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের বেহাল দশা যখন সবেমাত্র তিথিয়ে আসছে, করোনা তখন নতুন করে তার জোরালো থাবা বসাতে শুরু করেছে ব্রাজিল ও রাশিয়ায়। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। করোনা মহামারীর এই যে ক্ষিপ্রগতিতে অপ্রতিরোধ্য বিস্তার তার মূলে রয়েছে এর ভয়ানক ছোঁয়াচে প্রকৃতি। আক্রান্ত ব্যক্তি ভালো মতো বুঝে উঠার আগেই তার সংস্পর্শজন থেকে বহুজনে রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই আবার আক্রান্ত হচ্ছেন তেমন কোনো উপসর্গ দেখা দেওয়া ছাড়াই। নীরবে সেরেও উঠছেন, কিন্তু এই ফাঁকে আক্রান্ত থাকাকালে তার সংস্পর্শে আসা লোকদের মধ্যে তার অজান্তেই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে এ মহামারী মোকাবিলায় বিশ্বের প্রায় সব দেশই উপদ্রুত এলাকায় লকডাউন আরোপ করেছে। উদ্দেশ্য, সংক্রমণ যেন উপদ্রুত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইসোলেট/কোয়ারেন্টিন করা যায় এবং প্রয়োজন মাফিক চিকিৎসা/পরিচর্যা দেওয়া যায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিগত দুই মাসাধিক কাল ধরে সারা দেশ একরকম লকডাউনে ছিল। সীমিত পরিসরে কিছু জরুরি সেবা চালু থাকলেও বন্ধ ছিল বেশির ভাগ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্রিয়াকান্ড, চলেনি কোনো গণপরিবহন। এরই মধ্যে দেশময় এক ধরনের অসহিষ্ণু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্তের দিন আনে দিন খায় এমন খেটে খাওয়া মানুষ। অবশেষে সরকার ৩০ জুনের পর থেকে  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের অফিস-আদালত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সীমিত পরিসরে গণপরিবহনও চালু হবে বলে জানা গেছে। আসলে এমন অবস্থা তো আর অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। আজ হোক কাল, এখান থেকে বেরিয়ে আসতেই হতো। প্রশ্ন আসতে পারে, ‘লকডাউন’ প্রত্যাহারের জন্য এটিই যথার্থ সময় ছিল কিনা? এতে সংক্রমণ আরও বিস্তৃত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হলো কিনা? পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না হয় এবং নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায় তার জন্য কী কর্মপরিকল্পনা হতে পারে? বিশ্বের অনেক দেশই এর মধ্যে লকডাউন শিথিল করেছে, তবে তা করেছে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, পরিস্থিতি যাই হোক, লকডাউন তুলে দেওয়ার জন্য একরকম গোঁ ধরেছেন, যদিও তার দেশের স্বাস্থ্যবিদরা এ ব্যাপারে তড়িঘড়ির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যাচ্ছেন। পাশের দেশ ভারতে লকডাউন শিথিল করার পর সংক্রমণের হার বাড়তে দেখা গেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও লকডাউন শিথিলের পর সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি দ্রুত আয়ত্তে নিয়ে আসতে কি করণীয় আছে, তা নির্মোহভাবে বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। করোনা মহামারী মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) শুরু থেকেই যে মৌলিক কর্মপরিকল্পনা দিয়ে এসেছে তা হলো : Test, Test & Test। অর্থাৎ যত বেশি পারুন, পরীক্ষা করুন, আক্রান্তদের খুঁজে বের করুন। কেবল এভাবেই সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে, জনসংখ্যার একটি বড় অংশে? যা বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে হতে পারে ২০-৮০%? সংক্রমণের তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। বিজ্ঞানীদের জোরালো বিশ্বাস, সংক্রমণ চলাকালে নিজেদের মধ্যে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা না গেলেও এরা অন্যদের মধ্যে রোগ ছড়াতে সক্ষম। আপনি যদি সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে চান, নিয়ন্ত্রণে আনতে চান, তাহলে এসব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার একটি উপায় বের করতেই হবে। কেবল অসুস্থ বোধ করছে, এমন লোকদের পরীক্ষা করে এসব নীরব করোনাবাহীকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। আপনাকে পরীক্ষার আওতা আরও আরও বাড়াতে হবে। কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে হোক কিংবা দৈবচয়নের ভিত্তিতে, আপনাকে আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ লোকদেরও পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে। অনেকেই মনে করে বসে আছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে একটি শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছার পর আপনা আপনি স্থির হয়ে আসবে, তারপর কমতে শুরু করবে। এমনটি কেবল তখনই ঘটতে পারে, যদি ইতোমধ্যে যেসব লোক সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের দ্রুত ব্যাপক ভিত্তিতে শনাক্ত করে সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানোর সময়োচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। বৈশ্বিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাউথ কোরিয়ার মতো যেসব দেশ সংক্রমিতদের ব্যাপক ভিত্তিক শনাক্তকরণের ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভালো সাফল্য অর্জন করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি কিংবা স্পেনের মতো যেসব দেশ দেরিতে তৎপর হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ সমাজের ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। ফলে, তারা পরবর্তীতে শনাক্তকরণের সংখ্যা বিপুলভাবে বাড়িয়েও সংক্রমণের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিল না। এ কারণে বিশ্বময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এবং সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা করোনা শনাক্তকরণের এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবনের নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন যা খুব দ্রুত সুনির্দিষ্টভাবে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।

ইতিপূর্বেকার করোনা গোত্রীয় সার্স/মার্স এসব মহামারী মোকাবিলা থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার আলোকে বিশ্বময় সব দেশই করোনা শনাক্তকরণে আরটি-পিসিআর পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে আসছিল। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তকরণে এ পদ্ধতিটিই অনুসৃত হচ্ছে। শুরুর দিকে টেস্টিং সামর্থ্য খুব সীমিত থাকলেও এখন বিভিন্ন হাসপাতাল, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি মিলিয়ে ৪৮টি ল্যাবে আরটি-পিসিআর টেস্ট চলছে এবং প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে। আমরা এখনো অন্য কোনো পদ্ধতি বিবেচনায় নিইনি। আরটি-পিসিআর পদ্ধতিটি খুবই সুনির্দিষ্ট (specific) এবং সংবেদনশীল (sensitive), করোনা শনাক্তকরণে এখন পর্যন্ত আর কোনো পদ্ধতিই এর চেয়ে ভালো কাজ করে বলে প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে টেস্টিংয়ের আওতায় আনতে হলে শুধু এই একটি পদ্ধতির ওপর নির্ভর করা চলবে কিনা। আমেরিকা, ইউরোপ, এমনকি পাশের দেশ ভারতের দিকেও যদি তাকান, আপনি দেখতে পাবেন, তারা অনেক আগেই বিকল্প পদ্ধতির দিকে হাত বাড়িয়েছে। খোদ মার্কিন মুলুকে অনেক চেষ্টা করেও আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষার সংখ্যা দৈনিক দুই থেকে আড়াই লাখের উপরে উঠানো যাচ্ছিল না। আর ওদিকে স্বাস্থ্যবিদরা চেঁচিয়ে যাচ্ছিলেন, স্কুল-কলেজ, ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় চালু করার আগে প্রত্যেককে পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে, দৈনিক টেস্টের সংখ্যা কয়েক মিলিয়নে উন্নীত করতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে বিকল্প হিসেবে যেসব পরীক্ষা পদ্ধতি বিবেচনায় এসেছে, তা নতুন কিছু নয়। এর আগে সার্স/মার্সের মতো ভাইরাসজনিত রোগেও এগুলো ব্যবহৃত হয়েছে। এসব পরীক্ষায় রোগীর কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনায় করোনাভাইরাস দেহের কোনো এন্টিজেনিক প্রোটিন কিংবা এর বিরুদ্ধে মানবদেহে যেসব এন্টিবডি তৈরি হয়, তা শনাক্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাধারণভাবে এসব পরীক্ষা পদ্ধতিকে immunoassay নামে আখ্যায়িত করা হয়। আরটি-পিসিআরের ক্ষেত্রে যেখানে একটি টেস্ট রান করাতে কয়েক ঘন্টা লেগে যায়, সেখানে এ সব টেস্ট এমনভাবে ডিজাইন করা সম্ভব যাতে আপনি মিনিট পনেরোর মধ্যেই রেজাল্ট পেয়ে যাবেন। টেস্টগুলো খুবই সহজ প্রকৃতির, পয়েন্ট অব কেয়ার (POC) অর্থাৎ রোগীর বাসা, অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তারের চেম্বার, ক্লিনিক কিংবা হাসপাতাল? যখন যেখানে রোগীর পরীক্ষা করা হচ্ছে সরাসরি সেখানেই? পরীক্ষার ফল পাওয়া সম্ভব। নমুনা সংগ্রহ করে আলাদা কোনো ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো লাগে না। এছাড়া, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে মেশিনের দাম, বিশেষ ধরনের ল্যাব সেট-আপ এবং নমুনা সংগ্রহ, প্রসেসিং ও পরীক্ষা পরিচালনার জন্য দক্ষ টেকনিশিয়ানের প্রয়োজনীয়তা? এসব মিলিয়ে পরীক্ষা প্রতি খরচটাও অনেক পড়ে যায়।

এন্টিবডি টেস্টিং আপনার কাছে অধিকতর আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। কারণ, এখানে নমুনা হিসেবে দরকার কেবল অল্প একটু রক্ত, যা এমনকি সুঁই দিয়ে আঙ্গুল ফুঁটো করে রোগী নিজেই দিতে পারেন। পিসিআর টেস্টের জন্য সোয়াব ব্যবহার করে যে প্রক্রিয়ায় নাসারন্ধ্রের পেছনে ফ্যারিংস (pharynx) থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে হয়, তার জন্য দক্ষ হাতের প্রয়োজন তো আছেই, রোগীর জন্যও তা আরামপ্রদ নয়। তবে এন্টিবডি টেস্টের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো, এ পদ্ধতিতে সরাসরি ভাইরাস বা ভাইরাসের কোনো উপাদান নয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শরীর যে সব এন্টিবডি তৈরি করে তা শনাক্ত করা হয়। সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে যখন সবে শরীরে করোনাবিরোধী এন্টিবডিসমূহ তৈরি হচ্ছে, তখন এসব এন্টিবডি শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ধরা নাও পড়তে পারে।  এ কারণে এন্টিবডি টেস্ট চলমান সংক্রমণ (current infection) শনাক্তকরণের একমাত্র ভিত্তি হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ নেই। [EUA Authorized Serology Test Performance FDA, 26 May 2020] বিপরীতে, এন্টিজেন টেস্টে পিসিআরের ন্যায় ন্যাসাল/ওরাল সোয়াব নমুনা হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে জেনেটিক মেটেরিয়াল (RNA)-এর পরিবর্তে এখানে ভাইরাসের প্রোটিন শনাক্ত করা হয়। দেখা গেছে, এ ধরনের পরীক্ষা আরটি-পিসিআরের প্রায় সমপর্যায়ের স্পেসিফিসিটি দেখাতে সক্ষম, কিন্তু সেনসিটিভিটি তুলনামূলকভাবে কম। এর কারণ, আরটি-পিসিআর ভাইরাসের জেনেটিক মেটেরিয়ালকে বিবর্ধিত (amplify) করে, ফলে সংগৃহীত নমুনায় ভাইরাস পরিমাণে নগণ্য হলেও শনাক্ত করতে পারে। এন্টিজেন টেস্টে ভাইরাসের প্রোটিনকে বিবর্ধিত করার সেরূপ কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে নমুনায় ভাইরাসের পরিমাণ কম হলে এটি আর শনাক্ত করতে পারে না। কাজেই, এ টেস্টে রেজাল্ট যদি পজিটিভ আসে তা নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায়, তবে নেগেটিভ হলে তা ‘False -Ve’-ও হতে পারে। কাজেই, রোগীর যদি সুস্পষ্ট করোনা উপসর্গ থাকে, রেজাল্ট নেগেটিভ হলে RT-PCR দিয়ে তার নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সেনসিটিভিটির মানদন্ডে আরটি-পিসিআরের চেয়ে কিছুটা নিম্নমার্গের হলেও এ পরীক্ষাতে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় যে বিপুল গতি সঞ্চারের সম্ভাবনা নিহিত, তার কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পদ্ধতির ব্যাপারে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। উদাহরণ হিসেবে এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপক ও বিশেষজ্ঞের মন্তব্য উদ্ধৃত করা হলো। গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউস করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের প্রধান ডা. দেবোরাহ বার্ক্স এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘নিউক্লিয়িক এসিড টেস্টের মাধ্যমে দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন পরীক্ষা করা কিংবা কাজে বা স্কুলে ফেরার আগে প্রতিটি ব্যক্তিকে পরীক্ষার আওতায় আনার সামর্থ্য অর্জন কখনই সম্ভবপর হবে না। তবে এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে এটা সম্ভবপর হতে পারে।’ [CBS News, 09 May 2020] করোনা শনাক্তকরণের জন্য প্রথম কোনো এন্টিজেন টেস্টিং কিট হিসেবে কুইডেল করপোরেশনের Sofia 2 SARS Antigen FIA নামীয় কিটের ইউএস এফডিএ কর্তৃক জরুরি অনুমোদন (EUA) দেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় হার্ভার্ড গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. আশিস ঝা বলেন, ‘এন্টিজেন টেস্টিংয়ের ব্যাপারে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত, কারণ এ পদ্ধতিতে দৈনিক টেস্টের সংখ্যা কয়েক মিলিয়নে উন্নীত করার সামর্থ্য রয়েছে। তাছাড়া এতে অনেক দ্রুতগতিতে কাজ হবে। আমরা অনেকেই এ মুহূর্তটির প্রতীক্ষায় ছিলাম।’

[The New York Times, 09 May 2020] এফডিএ-এর সাবেক প্রধান স্কট গটলিয়েভ এ ঘটনাকে ‘সত্যিকারের গেম-চেঞ্জার’ বলে অভিহিত করেন। এন্টিবডি টেস্টিং করোনার চলমান সংক্রমণ শনাক্তকরণে ব্যবহার করা না গেলেও ভিন্ন আঙ্গিকে এটি করোনা সংক্রমণের শনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কোনো ব্যক্তি আগে সংক্রমিত হয়েছিল কিনা এই টেস্টের মাধ্যমে আমরা তা নির্ধারণ করতে পারি। এ বিষয়টির দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে। প্রথমত: এন্টিবডি তৈরি মূলত অণুজীবের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়ার একটি অংশ। কাজেই, কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাবিরোধী এন্টিবডি শনাক্ত হলে আপনি ধরে নিতে পারেন তার মধ্যে একরকম প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে যা তাকে পুনঃসংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। এ বিষয়টি একজন ব্যক্তিকে নির্ভয়ে তার কাজে ফিরতে উৎসাহ জোগাতে পারে। এটি ডাক্তার, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তাদের সব সময় রোগী নিয়ে কাজ করতে হয় বলে তারা অনেক বেশি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকেন। তবে সাধারণভাবে বিষয়টি সত্য হলেও এন্টিবডি তৈরির ফলে পুনরায় করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কতটুকু প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয় এবং তা কতদিন স্থায়ী হতে পারে এ বিষয়ে এখনো সম্যক ধারণা পাওয়া যায়নি। কিছু দেশ যেসব লোকের দেহে করোনাবিরোধী এন্টিবডি পাওয়া গেছে তাদের ‘immunity passport’ ev ‘risk-free certificate’ ইস্যুর কথা ভাবছিল, যাতে তারা এখানে সেখানে যেতে পারেন কিংবা কাজে ফিরতে পারেন।

২৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক সায়েন্টিফিক ব্রিফে এ প্রসঙ্গে সতর্কবাণী দিয়ে বলে, ‘এখন পর্যন্ত যেসব লোক Covid-19 থেকে সেরে উঠেছেন এবং শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে, তারা পুনঃ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ এখানে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো, যেহেতু এন্টিবডি টেস্টিংয়ের মাধ্যমে, উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকুক বা না থাকুক, অতীতে সংক্রমিত হয়েছে এমন সবাইকে শনাক্ত করা সম্ভব, দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাছাই করে জনসাধারণের অংশবিশেষের ওপর পরীক্ষা (serosurvey) চালিয়ে কোনো একটি জায়গায় সংক্রমণের ব্যাপ্তির সঠিক চিত্র পাওয়া সম্ভব। এতে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংক্রমণের ব্যাপকতার একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে এবং সে মোতাবেক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় পরিচর্যার জন্য সক্রিয় পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা যাবে। বিশেষ করে সংক্রমণের ‘হট স্পটগুলো’ চিহ্নিত করা গেলে প্রাধিকার ভিত্তিতে আপনার মনোযোগ ওখানে নিবদ্ধ করা সম্ভবপর হবে। এখানে এন্টিবডি টেস্টের আরেকটি সম্ভাব্য দুর্বলতার কথা উল্লেখ করা সমীচীন হবে। এই টেস্ট ভুলক্রমে সমগোত্রীয় অন্য কোনো করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সৃষ্ট এন্টিবডিকে নভেল করোনার এন্টিবডি হিসেবে শনাক্ত করতে পারে (false+ve)। বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যায়, বিশ্ববাজার এরকম বহু ত্রুটিপূর্ণ কিটে সয়লাব হয়ে গেছে। এ কারণে টেস্টিং কিটটি যথেষ্ট স্পেসিফিক কিনা তা ভালোভাবে পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।

লেখক : অধ্যাপক, ফার্মেসি বিভাগ, জাবি।

এই বিভাগের আরও খবর
প্যানক্রিয়াটিক ডায়াবেটিস
প্যানক্রিয়াটিক ডায়াবেটিস
কবজির ব্যথায় কী করবেন?
কবজির ব্যথায় কী করবেন?
জ্বর হলে কী খাবেন
জ্বর হলে কী খাবেন
রক্তচাপ থেকে নানান জটিলতা
রক্তচাপ থেকে নানান জটিলতা
তিন দিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলেই হতে পারে হার্টের ক্ষতি!
তিন দিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলেই হতে পারে হার্টের ক্ষতি!
হেলথ টিপস
হেলথ টিপস
হাঁটু ক্ষয় রোগের চিকিৎসা ও করণীয়
হাঁটু ক্ষয় রোগের চিকিৎসা ও করণীয়
নাকের অ্যালার্জির উপসর্গ
নাকের অ্যালার্জির উপসর্গ
করোনা ও ডেঙ্গু কি হতে পারে একসঙ্গে?
করোনা ও ডেঙ্গু কি হতে পারে একসঙ্গে?
মাতৃত্বকালীন কার্ডিওমায়োপ্যাথি
মাতৃত্বকালীন কার্ডিওমায়োপ্যাথি
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে মিষ্টি কুমড়া
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে মিষ্টি কুমড়া
হার্ট ব্লকের উপসর্গ কী?
হার্ট ব্লকের উপসর্গ কী?
সর্বশেষ খবর
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা

৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

২০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা