বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
৪ জুন বিশ্ব চা দিবস

চা রপ্তানি হচ্ছে ২৩ দেশে

দেশে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭। চায়ের মোট ভূমি (বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন) ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪২২ দশমিক ৬৯ একর। চা বাগানের মোট ভূমির পরিমাণ ২ লাখ ৭৬ হাজার ৯৬৩ দশমিক ৯৬ একর। চা বাগানের মোট চা চাষযোগ্য ভূমির পরিমাণ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৪ দশমিক ৪ একর

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চা রপ্তানি হচ্ছে ২৩ দেশে

বাংলাদেশে ২০১২ সালে চা উৎপাদন হয়েছিল ৬২ দশমিক ৫২ মিলিয়ন কেজি।    ১০ বছর পর ২০২১ সালে বৃদ্ধি পেয়ে উৎপাদন হয় রেকর্ড পরিমাণ চা- ৯৬  দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি। ২০২০ সালে উৎপাদন হয় ৮৬ দশমিক ৩৯  মিলিয়ন কেজি।    

চা সেবায় যোগ হয়েছে ডিজিটাল কার্যক্রম। আগামী ৪ জুন বঙ্গবন্ধুর দায়িত্ব গ্রহণের দিনকে স্মারক হিসেবে এ দিনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘চা দিবসের সংকল্প সমৃদ্ধ চা শিল্প’।

চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দেশে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি। চায়ের মোট ভূমি (বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন) ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪২২ দশমিক ৬৯ একর। চা বাগানের মোট ভূমির পরিমাণ ২ লাখ ৭৬ হাজার ৯৬৩ দশমিক ৯৬ একর। চা বাগানের মোট চা চাষযোগ্য ভূমির পরিমাণ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৪ দশমিক ৪ একর। ক্ষুদ্রায়তন চা চাষাধীন ভূমির পরিমাণ ১০ হাজার ৪৫৮ দশমিক ৭৩ একর। ২০২১ সালে একরপ্রতি গড় উৎপাদন ৬৯৭ কেজি।

চা বাগানের মোট শ্রমিকের সংখ্যা (২০২০ সাল) ১ লাখ ৪৩ লাখ ৯৭ জন। ক্ষুদ্রায়তন চা চাষির সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার জন। বেসরকারি আটটি প্রতিষ্ঠানের নয়টি ভ্যালিতে (বাগান) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চা উৎপাদন হয়। দেশে সাধারণত পাঁচ ধরনের চা উৎপাদন হয়। এগুলো হলো- সিটিসি, অর্থোডক্স, গ্রিন টি, সিলভার টি এবং হোয়াইট টি।

বাংলাদেশে উৎপাদিত চা বিশ্বের ২৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ২০২০ সালে ২  দশমিক ১৭ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি হয়। এতে সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি, বাড়ছে রাজস্ব।

রপ্তানি হওয়া দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, সাইপ্রাস, ব্রুনাই, গ্রিস, চীন, জাপান, মরিশাস, মালয়েশিয়া, কানাডা, ভারত, ইতালি, কুয়েত, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুইজারল্যান্ড, সলোমন আইল্যান্ড, দুবাই এবং আমেরিকা।

২০২১-২০ অর্থবছরে সরকারিভাবে     বিনিয়োগ করেছে ১৬২০ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশ চা বোর্ডের পরিকল্পনা শাখার তথ্য মতে, বেসরকারি ১৩টি প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বে ১০০টি এবং ৫০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগানসহ মোট ১৫০টি চা বাগান আছে। বেসরকারি ১৫০টি বাগানে ২০২১ সালের মোট উৎপাদন ৮৮ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন কেজি।

বিশ্বের ২৩টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চা রপ্তানি হচ্ছে। আয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।

গত পাচ বছরে দেশ থেকে মোট ১৫০ কোটি ২৪ লাখ ৭০০ টাকার চা রপ্তানি করা হয়েছে। এই সময়ে দেশ থেকে গড় চা রপ্তানি হয় ২২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। এর মধ্যে ২০২১ সালে রপ্তানি হয় ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯০০ টাকা, ২০২০ সালে রপ্তানি হয় ৭৫ কোটি ৩২ লাখ ৯০০ টাকা, ২০১৯ সালে রপ্তানি হয় ১১ কোটি ৬৫ লাখ ১০০ টাকা, ২০১৮ সালে রপ্তানি হয় ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং ২০১৭ সালে রপ্তানি হয় ৩৭ কোটি ৭২ লাখ ৯০০ টাকা।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম   এনডিসি, পিএসসি বলেন, চা দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল। কিন্তু নানা কারণে এটি অবহেলিত হয়েছিল। এখন আমরা চা শিল্পের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে এর ফলও পেতে শুরু করেছি। ফলে গত অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ চা (৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি) উৎপাদিত হয়েছে। এর মাধ্যমে চা রপ্তানির হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর