বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

শতরঞ্জি রপ্তানি হচ্ছে ৭১টি দেশে

নজরুল মৃধা, রংপুর

শতরঞ্জি রপ্তানি হচ্ছে ৭১টি দেশে

রংপুর নগরীর উপকণ্ঠে নিসবেতগঞ্জ নামে একটি  গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামটির আগের নাম ছিল পীরপুর। ১৮ শতকে  নিসবেত নামে এক ব্রিটিশ রংপুর জেলার কালেক্টরেট ছিলেন। পীরপুর গ্রামে সেই সময়ে মোটা ডোরাকাটা রং-বেরংয়ের সুতার গালিচা বা শতরঞ্জি  তৈরি হতো। নিসবেত সাহেব এসব শতরঞ্জি দেখে মুগ্ধ হন। পরবর্তীতে তিনি শতরঞ্জির গুণগতমান উন্নয়ন এবং এ শিল্পের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে সহায়তা প্রদান করেন এবং উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক বিপণনের চেষ্টা করেন। শতরঞ্জি কেবলমাত্র বাঁশ এবং রশি দিয়ে মাটির ওপর সুতা দিয়ে টানা প্রস্তুত করে  সুতা গণনা করে হাত দিয়ে নকশা করে তৈরি করা হয়। কোনো জোড়া ছাড়া যে কোনো মাপের শতরঞ্জি তৈরি করা যায়। এ ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কারুপণের  উৎপাদিত শতরঞ্জি এখন বিশ্বের ৭১টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

ইতিহাস লেখক মতিয়ার রহমান বসনিয়া বলেন, ত্রয়োদশ শতাব্দীতেও রংপুরে শতরঞ্জির বুননের প্রচলন ছিল। এখানকার তৈরি শতরঞ্জি মোগল সম্রাট আকবরের দরবারে ব্যবহার করা হতো। আভিজাত্যের প্রতীক ছিল। ব্রিটিশ আমলে এখানকার শতরঞ্জি সমগ্র ভারতবর্ষ ছাড়াও মালয়েশিয়া, বার্মা, সিংহল, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো।  কারুপণ্যের জনসংযোগ উপদেষ্টা মাহাবুব রহমান জানান, শতরঞ্জি রপ্তানি করে এই প্রতিষ্ঠানটি একাধিকবার আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক পেয়েছে। বর্তমানে ৭১টি দেশে শতরঞ্জি রপ্তানি করা হচ্ছে। ১৯৭৬ সালে সরকারিভাবে বাংলাদেশ বিসিক শতরঞ্জি তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করে।

সর্বশেষ খবর