১৯৯১ সালের জুলাইয়ে ভারতের উত্তরপ্রদেশে ভুয়া ক্রসফায়ারের ১০ জন শিখ তার্থযাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলঅয় ৪৭ জন পুলিশ অফিসারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল সিবিআই আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক এই রায় দেন।
শুক্রবার সিবিআই-এর বিশেষ আদালত অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৬৪, ৩৬৫, ২১৮ ও ১১৭ এবং সেই সঙ্গে ১২০বি ধারায় দণ্ডিত করে। সোমবার দোষী পুলিশকর্মীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারক লালু সিং।
ঘটনার দিন একাধিক তীর্থস্থান ঘুরে ফিরছিলেন শিখ তীর্থযাত্রীরা। ১৯৯১ সালের ১২ জুলাই বেলা ১১টার দিকে উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের কাছালাঘাটে তাঁদের বাস থামায় পুলিশ। এরপর ১০ জন শিখ যুবককে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ভুয়া এনকাউন্টারের নামে গুলি করে তাদের হত্যা করে পুলিশ। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন ওই যুবকেরা। তাঁই পুলিশও পালটা গুলি চালায়। এতে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে মৃত্যু হয় শিখ যুবকদের। তাঁদের জঙ্গি হিসাবে প্রমাণের চেষ্টাও চালায় পুলিশ৷ প্রামণ স্বরূপ বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও প্রদর্শন করা হয়। বলা হয়, নিহতদের কাছ থেকে এই সকল অস্ত্রশস্ত্র মিলেছে।
এই ঘটনায় ভিলসান্দা, পুরানপুর এবং নউরিয়া থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীকালে ঘটনায় অংশগ্রহণকারী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী আর এস সোধি। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার বর্তায় সিবিআই-এর ওপর।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর ডট কম।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব