ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরাতে নতুন করে সঙ্কটে পড়ল কংগ্রেস। গত দুই দশক ধরে রাজ্যটিতে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে আসছিল ইন্দিরা-রাজীবের দল। কিন্তু সেই দলেই এবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। অরুণাচল, অাসাম এবং মেঘালয়ের পর ত্রিপুরা হল উত্তর-পূর্ব ভারতের চতুর্থ রাজ্য, যেখানে দলের মধ্যেই মত পার্থক্য চরম আকার ধারণ করেছে।
মঙ্গলবার ত্রিপুরার সাবেক বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে ৬ জন বিক্ষুদ্ধ বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এদিন রাজ্যটির বিধানসভার স্পিকার রমেন্দ্র কুমার নাথের হাতে চিঠি তুলে দিয়ে ওই ৬ বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
তারা হলেন সুদীপ রায় বর্মন, আশিস কুমার সাহা, দিলীপ সরকার, প্রাণজিৎ সিংহ রায়, দিবা চন্দ্র রাংখোয়াল এবং বিশ্ববন্ধু সেন। এর ফলে কংগ্রেসকে সরিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটিতে এখন প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়ে গেল তৃণমূল। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের পর এবার ত্রিপুরাতেও দলের সংগঠন বাড়ালো ঘাসফুলের দল। রাজ্যটিতে তৃণমূলের বিধান পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন সুদীপ রায় বর্মন।
কংগ্রেসের অন্য আরেক বিক্ষুব্ধ বিধায়ক জিতেন সরকার আগেই দল ছেড়েছেন। সূত্রে খবর তিনি পুরোনো দল সিপিআইএম-এই যোগ দিতে পারেন।
এদিকে, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের ছয় বিক্ষুব্ধ বিধায়কের যোগদানের ফলে ৬০ সদস্য বিশিষ্ট ত্রিপুরায় কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা ১০ থেকে কমে হল ৩ জনে। বামেদের আছে ৫০ জন বিধায়ক।
তৃণমূলে যোগ দেওয়া কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ বিধায়করা জানিয়েছেন, সদ্য শেষ হওয়া পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে সিপিআইএম’এর সাথে কংগ্রেসের জোটের সিদ্ধান্তের ফলেই তাদের তৃণমূলে যোগদান। ত্রিপুরায় গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন ক্ষোভের সাথে জানান, ‘ত্রিপুরা থেকে দুর্নীতিতে যুক্ত ও জনগণ বিরোধী বাম সরকারকে উৎখাত করতেই আমরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছি’।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জুন, ২০১৬/মাহবুব