ইউরোপিয় ইউনিয়নের কড়া হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহালের চিন্তা-ভাবনা করছে তুর্কি সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্কের জনগণ চাইলে তিনি মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল করতে প্রস্তুত আছেন। খবর বিবিসির।
তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সমাবেত হওয়া জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এ আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দেশটিতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে পুলিশসহ সেনাবাহিনীর একটি অংশ। কিন্তু এরদোগানের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ রাজপথে নেমে তাদের সেই অসৎ উদ্দেশ্য ভণ্ডুল করে দেন। এরপর সরকারি কর্মকর্তাসহ হাজার হাজার পুলিশ ও সেনা সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে জনগণ।
এরদোগান বলেন, তুরস্কের জনগণ চাইলে এবং পার্লামেন্ট প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা অনুমোদন করলে তিনি দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল করতে প্রস্তুত আছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তুরস্ক আইন দ্বারা পরিচালিত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে জনগণের দাবিকে আপনি উপেক্ষা করতে পারেন না।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে কি আজ মৃত্যুদণ্ড নেই? কিংবা রাশিয়ায়, চীনে? এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে? শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে কোনো মৃত্যুদণ্ড নেই।’
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, দেশটিতে পুনরায় মৃত্যুদণ্ড বহাল করা হলে তুরস্কের ইইউ’র সদস্য হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব