নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি। মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের, আহত কমপক্ষে ছয় জন। এ নিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৪, আহত সাড়ে তিনহাজার। গোটা ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
গত ৮ জুলাই দক্ষিণ কাশ্মীরের কোকরনাগ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি আবদুল বুরহান ওয়ানি (২১) নিহত হওয়ার পর গত দেড় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে গোটা উপত্যকা।
কারফিউ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা হরতালের জেরে থমথমে কাশ্মীর। টানা ১২দিন ধরে অচল জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গা। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা, মোবাইল ফোন পরিষেবা, বন্ধ রয়েছে পত্রিকা অফিসও। নতুন করে উত্তপ্ত হওয়ায় রাজ্যের স্কুল ও কলেজ আরও এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে অমরনাথ যাত্রাও।
মঙ্গলবার কারফিউ উপেক্ষা করে কুলগাম জেলার কাজিগুন্দে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইঁট-পাথর বৃষ্টি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। কয়েকজন বিক্ষোভকারী সেনাবাহিনীর অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটানোরও চেষ্টা করা হয়। এরপরই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই নারীর। হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও একজনের।
এমন পরিস্থিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি কাশ্মীরের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলতি মাসের ২১ তারিখ সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন।
অন্যদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি গিলানি, মিরওয়াজ উমর ফারুক এবং ইয়াসিন মালিক জানিয়েছেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য উপত্যকায় হরতাল চলবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ