বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে গত ৬ বছর ধরে ইরানের কারাগারে আটক থাকা দেশটির এক পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। রবিবার তার পরিবারের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
শেহরাম আমিরি নামের ওই বিজ্ঞানী ২০১০ সাল থেকে ইরানের একটি জেলে আটক ছিলেন। তার মা জানান, আমিরির লাশ তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার লাশের গলায় দড়ির দাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসার পর আমিরিকে গোপন একটি স্থানে আটকে রাখা হয়। আমিরি দাবি করেন, সিআইএ জোর করে তাঁকে আটক রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্রে। এদিকে অপর এক তথ্য অনুসারে জানা যায়, আমির ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখতেন।
বিবিসি জানায়, ১৯৭৭ সালে জন্ম নেওয়া আমিরি ২০০৯ সালে মক্কায় হজ পালনের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। প্রায় বছরখানেক পর তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যায়। শেহরাম আমিরি জানান, মক্কা থেকে জোর করে সিআইএ তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায় এবং ইরানের পরমাণুবিষয়ক গোপন তথ্য পেতে মানসিক চাপ প্রয়োগ করে।
যুক্তরাষ্ট্রে তার এক ভিডিও রেকর্ডিং-এ তিনি বলেছিলেন, 'তারা আমাকে একটি ঘরের ভেতর নিয়ে যায়। সেটা কোথায় ছিল আমি জানি না। তারা আমাকে অ্যানস্থেটিক ইনজেকশন দেয়।' অপর এক ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমি তাদের (সিআইএ) কাছ থেকে পালিয়ে এসেছি।' ২০১০ সালে তিনি তেহরানে ফেরত আসেন।
ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, আমিরি তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন। পরে দেশের ফেরার পর ২০১০ সালে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য তিনি আটক হন। ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের পরমাণু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সরবরাহ করেন। এরপর চলতি মাসে তাকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব