তিব্বতে সামরিক প্রস্তুতি বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে চীন। লাদাখ ও অরুণাচলে ভারতের সমরাস্ত্র মোতায়েন করা নিয়ে কয়েক দিন আগে প্রতিবাদ জানায় চীন। এবার তিব্বতের দাওচেং ইয়াদিং বিমানবন্দরে দেখা গেছে চীনের জে-২০ স্টেল্থ ফাইটারকে। চীনের সবচেয়ে গোপন সামরিক প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই জে-২০।
স্টেল্থ ফাইটারটিকে ঢেকে রাখা হলেও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দু’টি ওয়েবসাইটে এটির ছবি প্রকাশ করেছে চীন। জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার সম্পর্কে কোনো তথ্য বেইজিং প্রকাশ করেনি। যুদ্ধবিমানটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত, নাকি পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে রয়েছে, তাও জানানো হয়নি। কয়েক মাস আগে চীনের একটি বিমানঘাঁটির রানওয়েতে জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার দাঁড়িয়ে থাকার একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। তার পরই জল্পনা শুরু হয়, চীনের জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার তৈরি হয়ে গিয়েছে।
বেইজিং সেই জল্পনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। চীনা বিমানবাহিনীতে ওই যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে কি না, তাও জানানো হয়নি। কিন্তু তিব্বতের দাওচেং ইয়াদিং বিমানবন্দরে ওই যুদ্ধবিমান দেখা যাওয়ার পর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জে-২০ চীনা বিমানবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ অসামরিক বিমানবন্দর দাওচেং ইয়াদিং-এর টারম্যাকে ত্রিপল দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখা গিয়েছে জে-২০-কে।
কী বিশেষত্ব এই যুদ্ধবিমানের? চীনের এই যুদ্ধবিমানে রয়েছে দু’টি ইঞ্জিন এবং এটি অত্যন্ত দ্রুতগামীও। জে-২০ যুদ্ধবিমানের সবচেয়ে বড় সক্ষমতা হল, এটি স্টেল্থ ফাইটার গোত্রের। অর্থাৎ বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে রাডারকে ফাঁকি দিয়ে গোপনে প্রতিপক্ষের এলাকায় আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে।
লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত যেভাবে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে, তিব্বতে জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার মোতায়েন করাকে তার পাল্টা হিসেবেই দেখছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। লাদাখে শতাধিক ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা বা অরুণাচলে সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র রাখার কথা প্রকাশ্যে আসার পর, চীন ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।
অরুণাচলে ভারত নিজেদের প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত সমরাস্ত্র রেখেছে বলে চীনা সেনাবাহিনীর দেয়া মুখপত্রে দাবি করা হয়। ভারতীয় বাহিনী অবশ্য জানায়, নিজেদের এলাকায় সামরিক অবকাঠামো ভারত কীভাবে গড়ে তুলবে, তাতে অন্য কোনো দেশের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই। সূত্র : আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/ ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ ফারজানা