পৃথিবীর উচ্চতম বহুতল ভবনগুলোর একটি দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা। এক আত্মীয় মজা করে বলেছিলেন, দেখ, তুমি এখানে ঢুকতেই পারবে না। এর কিছুদিনের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন থেকে দুবাইয়ে ওই ভবনটিতে একটি অ্যাপার্টমেন্টই ভাড়া করে ফেলেন। পরের দিন থেকেই সেখানে থাকতে শুরু করেন ভারতের কেরালার বাসিন্দা জর্জ ভি নেরেআপারামবিল।
এর ছয় বছরের মাথায় তিনি এখন সেই বুর্জ খলিফা ভবনটির ৯০০ অ্যাপার্টমেন্টের ২২টিরই মালিক হয়েছেন। এর কয়েকটি এরিমধ্যে ভাড়া দেয়া হয়ে গেছে। বাকিগুলো ভাড়া দেয়ার জন্য এখন উপযুক্ত লোক খুঁজছেন তিনি। তিনি বলেন, ভালো সুযোগ পেলে আরও অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে চাই। স্বপ্ন দেখা বন্ধ করতে চাই না আমি।
অথচ সহজ ছিল না জর্জ ভি নেরেআপারামবিলের বড় হয়ে ওঠা। অর্থ উপার্জনের জন্য তাকে মেকানিকেরও কাজ করতে হয়েছে। তবে পয়সা রোজগারের ইচ্ছা ছিল, ছিল প্রবল ব্যবসায়িক বুদ্ধি। জানিয়েছেন, ১১ বছর বয়স থেকে রোজগার করতে শুরু করেছিলেন। বাবার ব্যবসায়ে সাহায্য করতেন। আবর্জনা কুড়িয়েও রোজগার করতেন তিনি।
জর্জ ভি নেরেআপারামবিল জানান, তাদের গ্রামে তুলোর চাষ হতো। তুলোর বীজ ফেলে দিতেন সেখানকার বাসিন্দারা। কিন্তু সেই বীজ থেকে যে ভালো আঠা প্রস্তুত করা যায় তা জানতেন নেরেআপারামবিল। সেখান থেকে ৯০ ভাগই লাভ আসতো তার। তিনি তেতুলের বীজও সংগ্রহ করতেন এবং পশুর খাদ্য হিসেবে বিক্রি করতেন। এভাবে ধীরে ধীরে শুরু করা জর্জ ভি নেরেআপারামবিলে এখন 'জিইও গ্রুপ অব কোম্পানিস'র প্রতিষ্ঠাতা বনে গেছেন। সূত্র : খালিজ টাইমস
বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা