উমেশ রেড্ডি একজন দুর্ধর্ষ সিরিয়াল কিলার। উমেশ ২০ জন নারীকে ধর্ষণ করে তাদের নির্মমভাবে করে। খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয় সিরিয়াল কিলার। ভারতের কর্নাটক পুলিশ সার্ভিসের ট্রেনিং নেওয়া উমেশের বিরুদ্ধে কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট মিলিয়ে ২০ জন মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করে বলে অভিযোগ ছিল। পুলিশি জেরায় ১৮ জনকে খুনের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছিল সে। তাই সিরিয়াল কিলার উমেশ রেড্ডির ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছে ভারতের শীর্ষ আদালত।
উমেশ রেড্ডির মূল টার্গেট ছিল গৃহবধূরা। এসব গৃহবধূদের স্বামীরা অফিসের কাজে বাইরে চলে গেলে, দুপুর বেলায় বিভিন্ন এলাকায় গৃহবধূদের কাছে ঠিকানা জিজ্ঞেস করত উমেশ। কখনও আবার পানি খাওয়ার কারণ দেখিয়ে তাদের ঘরে ঢুকে পড়ত সে। এরপর ছুরি দেখিয়ে বিবস্ত্র করতে এই সব নারীদের। তারপর ধর্ষণ করে নারীদের ছুরি দিয়ে খুন করত এই সিরিয়াল কিলার উমেশ। ২০০৬ সালে পুলিশের জালে ধরা পরে হায় সে। এরপর ২০০৬ সালেই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট উমেশের বিরুদ্ধে ফাঁসির সাজা শোনায়।
২০০৭ সালে সেই রায় বহাল রাখে কর্নাটক হাইকোর্ট। ২০০৯ সালে রিভিউ পিটিশনের জন্য ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় উমেশ। কিন্তু, তাও খারিজ হয়ে যায়। ২০১১ সালে শীর্ষ আদালতের প্রাণভিক্ষার আবেদন করে ৫৭ বছরের উমেশ রেড্ডি। কিন্তু, মৃত্যুদণ্ডের সাজাই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। তা পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ পিটিশন দাখিল করে উমেশ। গত ৩ অক্টোবর তা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। বর্তমানে কর্নাটকের হিন্দলগা জেলে ফাঁসির অপেক্ষায় দিন কাটছে সিরিয়াল কিলার উমেশ রেড্ডির।
বিডি-প্রতিদিন/৯ অক্টোবর, ২০১৬/তাফসীর