পাকিস্তানে সংখ্যালঘু এক খ্রিষ্টান তরুণীকে তার নিজের ভাইয়ের সামনেই গণধর্ষণের শিকার হতে হয়। নিজ ধর্ম ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য তার উপর এই অমানুষিক পাশবিক নির্যাতন চলে। খ্রিস্টান এই পরিবারটি অভিযোগ করেন, তাঁদের পরিবারকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য বাধ্য করা হয়। কিন্তু তারা নিজ ধর্ম ত্যাগ করতে না চাইলে তিনজন মুসলিম মিলে তাদের মেয়েকে গণধর্ষণ করে। এই জঘন্য কাজ ঘটানোর সময় তরুণীর ভাইকে বাধ্য করা হয় বোনের চিৎকার শুনতে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের কাসুরে। খবর দ্যা ডেইলি মেল এর।
ডেইলি মেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, খ্রিস্টান এই ভাই-বোনকে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের জন্য চাপ দিতে থাকে এই মুসলিম দলটি। তারা তাদের ধর্মের প্রতি অটল থাকাতেই ঘটে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। ওই তিন যুবক ভাই-বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর নিজেদের ডেরায় নিয়ে গিয়ে তরুণীকে তিনজনে মিলে গণধর্ষণ করে।
ব্রিটিশ পাকিস্তানি খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন পুলিশকে জানিয়েছে, ওই ধর্ষক তিন যুবক লাঠি, রড ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। তরুণীর ভাই জানিয়েছে, তাকে যে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল, তার পাশের ঘরেই বোনকে রেখে যৌন নির্যাতন চালায় ওই তিন যুবক। বোনের সেই চিৎকার শুনতে তাকে বাধ্য করা হয়। অপহরণকারীদের ডেরা থেকে ওই তরুণীর ভাই বেরিয়ে আসার পরেই ঘটনার কথা প্রকাশ পায়। তবে, এখনও পর্যন্ত ওই তরুণীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
খ্রিস্টানদের চ্যারিটির অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/৯ অক্টোবর, ২০১৬/তাফসীর