কূটনৈতিকভাবে চীন যেভাবে বারবার পাকিস্তানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ ভারতবাসী। প্রশাসনিকভাবে সরাসরি চীনের উদ্দেশ্যে কিছু বলা না হলেও, চীনা দ্রব্য বয়কটের ডাক উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেই সুর শোনা গেল যোগগুরু রামদেবের কথাতেও। চিনা দ্রব্য বয়কটেরই ডাক দিলেন তিনি। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
ভারতীয় এই সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, চীনের বাধাতেই এলিট পরমাণু ক্লাব এনএসজি-তে প্রবেশ করতে পারেনি ভারত। তখন পাকিস্তানের তোলা অভিযোগে সায় দিয়েই ভারতের আশা কার্যত শেষ করেছিল চীন। এছাড়াও সন্ত্রাস প্রশ্নে বারবার পাকিস্তানের পাশে এসেই দাঁড়িয়েছে চীন।
উরি পরবর্তী সময়ে জৈশ নেতা মাসুদ আজহারকে জঙ্গি ঘোষণার ক্ষেত্রেও বাধা দিয়েছে চীন। ব্রিকস সম্মেলনে নাম না করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে যখন পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে তুলে ধরেছেন, তখনও পাকিস্তানের পিঠ বাঁচাতে আসরে নেমেছে চীন। চীন নিজের নিরপেক্ষ অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলের সামনে স্পষ্ট করতে চাইলেও মুলত পাকিস্তানের প্রতি সে দেশের পক্ষপাতিত্ব কোনভাবেই গোপন থাকছে না।
প্রশাসনিকভাবে কোন বিবৃতি না দিলেও, চীনকে সমুচিত শিক্ষা দেওয়ার রাস্তা যে চীনের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করা সে বিষয়ে একমত ভারতবাসী। কিন্তু সরকারিভাবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া এখনই সম্ভব নয়। কেননা চীনের সঙ্গে এই মুহূর্তে প্রায় ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে ভারতের। কিন্তু চীনা দ্রব্য বয়কট করে ভারতে চীনের বাজারকে সংকুচিত করার ভাবনা নিয়েছিল দেশবাসী। সেভাবেই দীপাবলির শুরুতে চীনা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বয়কট করার জন্য লাগাতার প্রচার চলেছিল। সে প্রচারে অন্তত ২০ শতাংশ বিক্রি কমেছে। চীনা নকল ডিম রুখতেও নানা প্রচার চলে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এদিকে দেশটির নাগরিকদের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন যোগগুরু তথা ‘পতঞ্জলি’ সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বাবা রামদেব। দ্বিধাহীনভাবেই তিনি জানালেন, চীনা দ্রব্য বয়কট করেই চীনকে শিক্ষা দিতে হবে। আর তাই চীনা দ্রব্য নিষিদ্ধ করার দাবি জানালেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/১৮ অক্টোবর ২০১৬/হিমেল