জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি মসুল নিয়ন্ত্রণে প্রত্যাশা অনুযায়ী সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে ইরাকি সেনারা। সোমবার সকাল থেকে মসুলে অভিযান শুরু করা হয়। মঙ্গলবার ইরাকি সরকার ও কুর্দিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মসুলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে আইএস।
আবু বকর আল বাগদাদির হাত ধরে এই মসুল থেকেই আইসিসের উত্থান। পরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টবিরোধী বিদ্রোহে যুক্ত হয় তারা। ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশকে দখল করে ২০১৪ সালে খিলাফত তৈরির ঘোষণা দেয় আইএস। গত দুই বছরে দখলকৃত এলাকার মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে তারা।
চলতি বছরের শুরু থেকে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। সিরিয়ার দাবিক এলাকা এরিমধ্যে হাতছাড়া হয়েছে আইএসের। আইএসের প্রচারপত্রে দাবিকের যুদ্ধকে বারবার 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের যুদ্ধ' হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই দাবিকে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের কাছে এই হার আইএসের মনোবল চুরমার করে দেবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, গত দুই মাস ধরেই সিরিয়ার তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহী বাহিনী আইএসকে তাড়াতে লড়াই করে যাচ্ছে। মঙ্গলবার তুরস্কের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আমেরিকার সমর্থিত জোটের হামলায় সিরিয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় ২০ আইএস জঙ্গি নিহত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১৮ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা