প্রথমে ধর্ষণ, এরপর বিয়ে, তারপর সেই নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া এক সন্তানকে অন্যের কাছে বিক্রি করেছেন তার পাষন্ড স্বামী। এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বরেলি এলাকায়। ২০১৪ সালে ধর্ষিতা হওয়ার পরে ধর্ষকের সঙ্গে সেই নারীর বিয়ে দেওয়া হয়। পরে তার সন্তান হলে সেই সন্তানকে তার স্বামী এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
তখন এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে না পারলেও, বিবাহ বিচ্ছেদের পরে সেই নারী লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বরেলি থানায়। লিখিত অভিযোগে সেই নারী তার কন্যা সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এবং তার ধর্ষক ও প্রাক্তন স্বামীকে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল আশুতোষ কুমার জানিয়েছেন, 'ধর্ষিতার করা অভিযোগ খুবই গুরুতর। আমরা এই ঘটনার তদন্তের ভার কোন নারী সার্কেল অফিসারের হাতেই দেব এবং খেয়াল রাখা হবে যাতে প্রতিটি বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়।'
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কািরে ওই ভদ্রমহিলা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে ঘটনার শুরু। তার পরিচয় হয় শাহভেজের সঙ্গে। এমব্রয়ডারির কাজের ব্যবসা করত শাহভেজ এবং তিনি নিজে জরির কাজের কারিগর ছিলেন। আলাপ হওয়ার পর থেকে প্রায়ই নির্যাতিতার বাড়িতে আসত শাহভেজ। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন করে। পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় তাকে ভয় দেখাতে শুরু করে শাহভেজ। এই কথা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে সমাজের চাপে পড়ে বিয়ে করে তাকে। কন্যা সন্তানের জন্মের পরে শাহভেজ সেই শিশুকে লুকিয়ে বিক্রি করে দেয় মাত্র ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে।
বিডি প্রতিদিন/১৮ অক্টোবর ২০১৬/হিমেল