সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আমেরিকার একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী তা এখন প্রায় সবারই জানা। কিন্তু সেই ব্যবসার পরিধি কতটুকু? ফোর্বসের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৫১৫টি কোম্পানির মালিক ট্রাম্প। ৩৭০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সম্পত্তির মালিক তিনি। বিশ্বের নানা দেশে তার বহু ভবন, ১৫টি হোটেল এবং গল্ফ কোর্স রয়েছে।
ট্রাম্পের এই সম্পত্তি নিয়ে এখন শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। ধনকুবের ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর তার ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য কীভাবে সামলাবেন সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনি তার পদের প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসায়িক সুবিধা নেবেন কিনা অথবা স্বার্থের সংঘাত দেখা দেবে কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে।
তবে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের আইনজীবী বলেছেন, তার ব্যক্তি মালিকানাধীন ট্রাম্প অর্গানাইজেশন, যেটি হোটেল, গল্ফ কোর্স এবং দেশে বিদেশে বাণিজ্যিক ও আবাসিক সম্পত্তির মালিক, সেটি একটি ‘ব্লাইন্ড ট্রাস্টের’ মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
এই ‘ব্লাইন্ড ট্রাস্টের’ ট্রাস্টি হবেন তার ছেলেমেয়েরা। ব্লাইন্ড ট্রাস্টের মাধ্যমে ট্রাম্প ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বা স্বার্থের সংঘাত থেকে দূরে থাকতে পারবেন বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু তার সন্তানরা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন দেখভাল করবেন বলে স্বার্থের সংঘাত থেকে প্রেসিডেন্ট কতটা মুক্ত থাকতে পারবেন সেটি নিয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করছেন।
বিশেষ করে যেসব দেশের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে প্রভাব খাটাতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে সগর্বে মাথা তুলে রয়েছে ট্রাম্পের ৬৬ তলার পেন্টহাউস ‘ট্রাম্প টাওয়ার’। এ বাড়িতে স্ত্রী মেলানিয়া এবং ছেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেছেন ট্রাম্প।
এ পেন্টহাউসে ব্যবহৃত মার্বেলের স্ল্যাবের ওপর ২৪ ক্যারেট সোনা বসানো রয়েছে। বর্তমানে প্রাসাদের বাজারদর প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার। বলা বাহুল্য, এ পেন্টহাউস ছাড়া আরও অনেক ভিলা এবং বাংলোর মালিক ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে শুধু মার্বেল ফলকেই নয়, বাড়ির প্রধান ফটকের শোভা বাড়াতেও কাঠের ওপর সোনা ও হিরের টুকরো গেঁথে দেওয়া হয়েছে।
শিকাগোতেও রয়েছে একই ট্রাম্প টাওয়ার। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যে তার ব্যবসা রয়েছে। তুরস্ক, উরুগুয়ে, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছে তার হোটেল।
সূত্র:বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ