মানসিক স্বাস্থ্য সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সুইসাইড প্রিভেনশন লাইফলাইন। মন খারাপে ভুগতে থাকা, আবেগপ্রবণ ও আত্মহত্যার চিন্তা করা মানুষদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য উদ্বুদ্ধ করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ট্রাম্প বিজয়ী ঘোষিত হওয়ার পর অন্য সময়ের তুলনায় তাদের ঘণ্টায় আড়াইগুণ বেশি কল রিসিভ করতে হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জন ড্রাপার বলেন, ইতিহাসে আমরা এমন পরিস্থিতি দেখিনি। বৃহৎ জনগোষ্ঠী মানসিক অশান্তিতে রয়েছে। তারা চায় কেউ তাদের কথা শুনুক। আমাদের প্রশিক্ষিত পরামর্শকরা তাদের কথা শুনছেন এবং পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৬৬০ জন মানুষের কল রিসিভ করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার জীবনের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশংকা করছেন অভিবাসী, আফ্রো-আমেরিকান, লাতিন, মুসলিম ও সমকামী সম্প্রদায়ের লোকেরা। নির্বাচনের পর এসব গোষ্ঠীর মানুষরাই তাদের জীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আর সে কারণেই তারা ন্যাশনাল সুইসাইড প্রিভেনশন লাইফলাইনে কল দেন।
মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে কাজ করে আরেক প্রতিষ্ঠান ‘ক্রাইসিস টেক্স লাইন’। স্বাভাবিক সময়ে তারা একদিনে হাজারখানেক মেসেজ পেয়ে থাকে। ট্রাম্পের জয়ের খবরে মঙ্গলবার রাতের পর এ সংখ্যা আট গুণ বেড়ে গেছে। দুই দিন ধরে তারা ২৪ ঘণ্টায় গড়ে চার হাজার মেসেজ পেয়েছে। যারা টেক্সট করছেন, তাদের বেশিরভাগ সমকামী সম্প্রদায়ের সদস্য।
বিডি প্রতিদিন/১৪ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা