পাঁচটি কারণে রীতিমতো ভারতকে ভয় পায় চীন। এগুলোর মধ্যে আছে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, ভারতের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন শক্তি ও প্রযুক্তি, ভারত-মার্কিন সামরিক সহযোগিতা।
বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। ওই বছর চীনকে পেছনে ফেলে ৬৩ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সক্ষম হয় ভারত। চীন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ টানতে উঠেপড়ে লেগেছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চিনা অর্থনীতিকে আরও উদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ভারতের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন শক্তি ও প্রযুক্তিতেও আতঙ্কিত চীন। ভারতের সুলভ শ্রম ও মানবসম্পদকে টেক্কা দিতে পারছে না তারা। মার্কিন সফটওয়্যার কোম্পানি ‘সিএ টেকনোলজিস’ চীনে থাকা প্রায় ৩০০ জনের একটি রিসার্চ টিমকে সরিয়ে নিয়েছে। তারপরই ওই কোম্পানি ভারতে এসে গঠন করেছে প্রায় ২০০০ গবেষকদের একটি দল। বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য এতেই প্রমাণিত। ‘হাই-টেক ট্যালেন্ট’ ও সুলভ মানবসম্পদের জন্য ক্রমাগত ভারতের দিকে ঝুঁকছে বিদেশি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলি।
চলতি বছর একসঙ্গে ১০৪টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ইতিহাস গড়েছে ভারত। প্রথম দিকে এই সাফল্যকে হেয় করার চেষ্টা করলেও, পরে ভারতের অগ্রগতি মানতে বাধ্য হয় চীনা সংবাদমাধ্যম। কম খরচে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর প্রযুক্তিতে চীনের থেকে অনেক এগিয়ে ভারত।
দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত নির্মাণের জেরে আমেরিকাসহ একাধিক দেশের সঙ্গে সংঘাত তৈরি হয়েছে চীনের। এদিকে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর দ্বারা মার্কিন সেনাবাহিনীর রণতরী ও যুদ্ধবিমানগুলি ভারতের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে। এটা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন করেছে চীনকে।
সূত্র: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/৮ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা