ছয়টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দ্বিতীয় দফায় যে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেটিও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। নতুন ওই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে হাওয়াই মামলা করার একদিন পরই ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস ও ওরেগন মামলা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম দফায় নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে যে আইনি লড়াই চলেছিল তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিল ওয়াশিংটন এবং ওই মামলায় জয়ও পেয়েছিল তারা। একজন ফেডারেল জজের নির্দেশে ওই নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যায়।
আর এখন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফায় নির্বাহী আদেশের যৌক্তিকতা নিয়েও চ্যালেঞ্জ করছে ওয়াশিংটন। প্রদেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল বব ফার্গুসনের মতে এটিও সংবিধানপরিপন্থী নির্বাহী আদেশ। তিনি বিচারকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন এই আদেশটিও স্থগিত করা হয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশে সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, দ্বিতীয় দফার আদেশ ইরাককে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাকি ছয়টি দেশ হলো ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া এবং সোমলিয়া।
এছাড়া নতুন আদেশে বলা হচ্ছে সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচি বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু এই নতুন নিষেধাজ্ঞাও আইনি বাধার মুখে পড়লো। নতুন আদেশের বিরুদ্ধে প্রথমেই মামলা করেছে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। এরপর নিউ ইয়র্ক এই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করে বলেছে এটি আসলে মুসলিমদের ওপরেই নিষেধাজ্ঞা। ওয়াশিংটন বলছে, এ ধরনের আদেশ রাজ্যের জন্য ক্ষতিকর। এরপর ম্যাসাচুসেটস, মিনেসোটা ও ওরেগন অঙ্গরাজ্যও নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা করে এটি স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
ট্রাম্পের জারি করা নতুন আদেশটি আগামী ১৬ই মার্চ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। ধারণা করা হচ্ছে এ আদেশটি স্থগিত হলে ট্রাম্প পরবর্তী আদেশগুলো আরেকটু ভেবেচিন্তেই নেবেন। কারণ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এমন 'ঝড়ের' মুখে আগে কেউ পড়েননি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ