নেদারল্যান্ডস, জার্মানিসহ কয়েকটি ইইউ দেশের নেতারা ইউরোপীয় দেশগুলোতে তুরস্ক সরকারের সমাবেশ করার চেষ্টা নিয়ে ক্রমবর্ধমান বিরোধের মধ্যে দেশটির তীব্র সমালোচনা করে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসকে নাৎসীদের অবশিষ্টাংস এবং ফ্যাসিস্ট বলে মন্তব্য করেছেন। গণভোটের প্রচার সমাবেশ করতে না দেওয়ায় পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডাচদেরকে নাৎসীবাদী বলায় রবিবার এরদোয়ানের কাছ থেকে ক্ষমাও দাবি করে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেন, “এমন মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এদেশ নাৎসীদের বোমা হামলা শিকার হয়েছে। ফলে তুরস্কের ওই মন্তব্য কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
জার্মানিও চুপচাপ বসে থাকেননি। এ প্রসঙ্গে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “তুরস্কের কাণ্ডজ্ঞান ফিরে আসা উচিত।” জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জার্মানিতে তুরস্কের রাজনৈতিক প্রচারাভিযানের বিরোধিতা করেছেন। জার্মানিতে তুরস্কের প্রচার চালানোর কোনও প্রয়োজন নেই।”
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ক্ষমতা আরও বাড়াতে ১৬ এপ্রিলে সংবিধান সংশোধন নিয়ে গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। দেশের বাইরে বসবাস করে ৫৫ লাখ তুর্কি। এর মধ্যে জার্মানিতেই আছে ১৪ লাখ ভোটার। সেখানে হ্যাঁ ভোটের পক্ষে প্রচার চালালে অনেক ভোটারকেই দলে টানতে পারবে তুরস্ক।
এ কারণেই জার্মানিসহ অস্ট্রিয়া এবং নেদারল্যান্ডস যেখানে তুর্কিদের সংখ্যা বেশি সেসব দেশে একাধিক প্রচার সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে তুরস্ক। কিন্তু তুরস্ককে ‘না’ বলে দিয়েছে এ তিনটি দেশই। নিরাপত্তা উদ্বেগজনিত কারণ দেখিয়ে তারা তুরস্কের প্রচার সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ মার্চ, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৬