ভারতে চলন্ত গাড়িতে বাবার সামনে দুই মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। ভারতের গুজরাটের দাহুদ জেলার দেবগড়ে বৃহস্পতিবার ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ধর্ষিত ওই দুই কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও আটজন পলাতক রয়েছে।
পুলিশকে ওই দুই কিশোরীর বাবা জানান, দেবগড়ে তার একটি দোকান রয়েছে। ঘটনার দিন তিনি সেখানেই ছিলেন। তার ১৩ ও ১৫ বছরের দুই মেয়েও তখন দোকানেই ছিল। হঠাৎ ১৩ জনের একটি দল নিয়ে কুমাত বারিয়া নামে এক ব্যক্তি তার দোকানে চড়াও হয়। তিনজনকেই একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িতে ছিল ছয়জন। আর বাকিরা বাইকে করে গাড়িটিকে অনুসরণ করছিল। চলন্ত গাড়িতে তার চোখের সামনেই দুই মেয়েকে তারা একের পর এক ধর্ষণ করে। তার হাত-মুখ শক্ত করে চেপে ধরে রাখা হয়েছিল।
দুই মেয়ের ওপর এই নির্যাতন তাকে অসহায়ভাবেই সহ্য করতে হয়েছে। এরপর গাড়ি মান্ধব গ্রামে পৌঁছলে তাদের বাইরে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
পুলিশের কাছে গেলে ফল আরও খারাপ হবে বলে দুষ্কৃতিরা হুমকি দিয়ে যায়। দুই কিশোরীর বাবা আরও জানান, কুমাত বারিয়ার সঙ্গে তার পুরনো শত্রুতা ছিল। কিছুদিন আগেই তার সঙ্গে ব্যবসাসংক্রান্ত কোনো এক ঝামেলায় কুমাতের ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তারপর থেকে বেশ কয়েকবার কুমাত তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এমনকি ঘটনার সময় কুমাত বারবারই তার ছেলের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ টেনে আনছিল।
দেবগড় থানার এসআই ডি জি রাভাল জানান, দেবগড় সরকারি হাসপাতালে দুই কিশোরীর চিকিৎসা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ