চির বৈরি দুটি দেশ তাইওয়ান ও চীন। জন্মের পর থেকেই একে অন্যকে দোষারুপ করে আসছে নানা ইস্যুতে। তবে এবার তাইওয়ানের অভিযোগ, দেশটিতে ছদ্মবেশে তৎপরতা চালাচ্ছে চীন।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বাধীনতাপন্থি নেতা সাই ইং-ওয়েনের বিজয়ের পর চীন ওই দেশটিতে গোপন তৎপরতা বাড়িয়ে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশটির পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং তিং-ইয়ু জানান, চীনা গুপ্তচররা তাইওয়ানের মাটিতে শিক্ষাবিদ এবং ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে কাজ করে যাচ্ছে। তাইওয়ানের সমাজে চীন অস্থিতিশীলতার বীজ বপন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে নিজেদের একটি স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে চীন। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে হলেও এই তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে পুনরায় একত্রিত করতে বদ্ধপরিকর চীনারা।
বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ওয়াং আরো বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা যায় যে তাইওয়ানে এসব গোপন তৎপরতায় চীন কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। সেখানকার ক্ষমতাসীনদের মধ্য থেকেও এজেন্ট নিয়োগের চেষ্টা করছে চীনা প্রশাসন। তার ভাষায়, ‘অনেকে তাইওয়ানে বিয়ে করে, অনেকে গবেষক ছদ্মবেশে এখানে কাজ করে, অনেকে ব্যবসায়ী ছদ্মবেশে। তারা আমাদের সমাজের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তাদের তাদের এজেন্ট হওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে।’
তবে এসব তথ্যের সূত্র জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ করেছে তাইওয়ান। তবে তা বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তাইওয়ানের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট অ্যানেতে লু’র এক দেহরক্ষীকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। চীনা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে বেইজিংকে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহের অভেযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সূত্র: বিবিসি