সম্প্রতি জাপানি তিমি শিকারী একটি জাহাজের বহর এন্টার্কটিক মহাসাগরে ৩৩৩টি তিমি হত্যা করে বন্দরে ফিরে আসে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এ খবর প্রকাশের পর থেকেই জাপানের এই নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে। দক্ষিণ সাগরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে জাহাজের বহরটি। উদ্দেশ্য ছিল ৩০০ এর বেশি মিঙ্ক জাতের তিমি শিকার করা।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকালে পশ্চিম জাপানে শিমোনেসেকি বন্দরে পৌঁছায় নিশিন মারু নামের জাহাজ, যেটি এই বহরের নেতৃত্ব দিয়েছে। এই বহরে পাঁচটি জাহাজ ছিল। প্রায় দুইশ’ জাপানি নাগরিক জাহাজের বহরটিকে স্বাগত জানায়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাপানি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এন্টার্কটিক মহাসাগরে জীববৈচিত্র্রের উপর গবেষণা করতেই এই অভিযান পরিচালিত হয়।
কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালত এবং বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন একে নিছক গল্প বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আর এ রকম উত্তর আসবে সেরকমটা আগে থেকেই জানতো হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল এর ভাইস প্রেসিডেন্ট কিটি ব্লক। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বছর জাপান বৈজ্ঞানিক গবেষনার নামে এই অর্থহীন হত্যাকাণ্ড করে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের নামে এমন অর্থহীন নিষ্ঠুরতা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
গতবছরও জাপান ৩৩৩ টি মিঙ্ক তিমি শিকার করেছিল। সেসময় আন্তর্জাতিক আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাপান বৈজ্ঞানিক গবেষণার নামে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তিমি শিকার করছে। অথচ ১৯৮৬ সালে আরোপ করা তিমি শিকার স্থগিতাদেশ চুক্তিতে সাক্ষর করেছিলো জাপান। সেই চুক্তি ভঙ্গ করেই এতদিন ধরে তিমি শিকার চালিয়ে যাচ্ছে জাপান। মূলত এই চুক্তির একটি অংশে বলা ছিল বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য তিমি শিকার করা যেতে পারে। আর এর সুযোগ নিয়েই জাপান দিনের পর দিন তিমি শিকার করে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/৩১ মার্চ ২০১৭/হিমেল