উপনির্বাচন ঘিরে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অগ্নিগর্ভে পরিণত হয়েছে। রবিবার রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত আট জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক। বন্ধ করে দেওয়া হয় কাশ্মীরের ইন্টারনেট সংযোগ। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। খবর এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমসের।
এদিকে, সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরের অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা এই ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সরকারি সূত্রের দাবি, পাকিস্তানভিত্তিক একটি গ্রুপ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নির্বাচন নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে। তারা সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে। এই কারণে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিবার শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের পাশাপাশি ভারতের আরও আটটি রাজ্যে বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল শ্রীনগর কেন্দ্রটি। এই কেন্দ্রের মোট প্রার্থী ৯ জন, ভোটারের সংখ্যা ১২.৬১ লাখ। ভোটগ্রহণের জন্য প্রায় ১৫০০ টি পোলিং বুথ খোলা হয়েছিল। শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে ভোট করার জন্য প্রায় ৪০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু শ্রীনগর লোকসভার উপনির্বাচনে ভোট শুরুর পরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয় বেশ কিছু ভোটকেন্দ্র। দুই পক্ষের মাঝে পড়ে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষও আহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে দালওয়ান গ্রামে একটি বুথে বিক্ষোভকারীরা ঢুকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নষ্ট করে। বেরওয়াতেও একটি বুথে ইভিএম ভাঙচুর করার পাশাপাশি একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
বুদগাম ছাড়াও শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন শ্রীনগর ও গান্ডেরবাল জেলার আরও কয়েকটি এলাকায় ভোট বন্ধ করতে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছোঁড়ে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওযার কারণে ৬ টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ রাখা হয়।
এক পর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনী জনতার ওপর গুলি চালালে ৮ জন নিহত হন। বহু সাধারণ মানুষ এবং শতাধিন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আহত হন। তবে জনতার ওপর গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ