অভিবাসন প্রক্রিয়া ঢেলে সাজাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এতে অভিবাসীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও কঠিন করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল বলেছেন- নাগরিকত্ব পেতে আগ্রহীদের আরও বেশি ইংরেজিতে পারদর্শিতা এবং অস্ট্রেলিয়ার মূল্যবোধের প্রতি আনুগত্য দেখাতে হবে। জাতীয় স্বার্থেই এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছে। আবেদনকারীকে অন্তত স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ বছর বসবাস করতে হবে।
পাশাপাশি, ওয়ার্কিং ভিসার প্রক্রিয়াও কঠিন করছে অস্ট্রেলিয়ায়। এ ব্যপারে টার্নবুল বলেন, অভিবাসীরা দেশের নাগরিকদের সাথে ভালোভাবে মিশতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্যই এই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। তাদের এটা বোঝা জরুরি যে তারা অস্ট্রেলিয়ার মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকার করছে। অস্ট্রেলিয়ার মূল্যবোধ কি এই প্রশ্নের জবাবে টার্নবুল বলেন, অভিবাসীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং নারী-পুরুষের সম-অধিকারের প্রতি সমর্থন থাকতে হবে।
নাগরিকত্ব লাভের প্রক্রিয়ায় আরও যে সকল পরিবর্তন আনা হচ্ছে তা হলো অন্যদের সাথে মিলেমিশে চলতে পারবে কিনা তা প্রমাণের জন্য একজন অভিবাসীকে তার চাকরিজীবনের ইতিহাস এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে তার মেম্বারশিপ দেখাতে হবে। একজন অভিবাসী তিনবার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টি বলেছে, রাজনৈতিক স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নতুন নিয়মগুলো করছে। লেবার পার্টির সিনেটর পেনি ওং বলেছেন- আমার কাছে এটা বেখাপ্পা লাগছে যে কাউকে প্রশ্ন করা হবে আপনি আইন মেনে চলবেন কিনা। যেখানে তা মান্য করার জন্য তিনি আগেই অঙ্গীকার করেছেন।
সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৭/ওয়াসিফ