আলোচিত গণমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হবে কিনা তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের ঝড় উঠেছে শুরু হয়েছে মার্কিন প্রশাসনে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এমনটিই বলা হচ্ছে।
জানা যায়, বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করে দেয়ায় উইকিলিকসও গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন প্রশাসনের চক্ষুশূল হয়ে আছে। এদিকে গত সপ্তাহে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক মাইক পোম্পেও বলেছেন, এটি রাশিয়ার হস্তক্ষেপে পরিচালিত ‘হিংসাত্মক বুদ্ধিমত্তার’ একটি সংগঠন এবং জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ একজন ‘প্রতারক’। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত মার্কিন নির্বাচনকালীন সময়ে সংস্থাটি ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবিরের দ্বারা প্রসংশিত হয়েছিলো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে অন্য এক খবরে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার টেক্সাসের এল পাসোতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস। সেসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, অ্যাসাঞ্জকে চূড়ান্তভাবে গ্রেফতারকে মার্কিন বিচার বিভাগ প্রাধান্য দিচ্ছে কিনা। জবাবে সেসশনস বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রচেষ্টা জোরালো করতে যাচ্ছি এবং এরমধ্যে সবগুলো ফাঁসের ঘটনায় আমরা পদক্ষেপ জোরালো করেছি। এটি এমন একটি ব্যাপার যা আমার জানাকেও ছাপিয়ে গেছে। অনেক বছর ধরেই আমরা যারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ইস্যুতে কাজ করছি, তারা এ ধরনের ফাঁসের ঘটনায় হতবাক হয়েছি। এগুলোর কিছু কিছু খুব মারাত্মক। সুতরাং হ্যাঁ, এটি আমাদের প্রাধান্য। এরইমধ্যে আমরা প্রচেষ্টা জোরালো করেছি এবং মামলা করা গেলে আমরা কতিপয় ব্যক্তিকে জেলে ঢোকাতে পারব।’
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়া জাগানো বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয় ২০১০ সালে। মার্কিন কূটনৈতিক নথি ফাঁসের মধ্য দিয়ে উইকিলিকস উন্মোচন করে মার্কিন সাম্রাজ্যের নানা গোপন তথ্য। দুনিয়াজুড়ে আলোচনায় আসেন ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন তিনি। মূলত ২০১০ সাল থেকেই অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৭/ওয়াসিফ