প্রত্যাশামতোই পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন (সভানেত্রী) নির্বাচিত হলেন দলের নেত্রী ও রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
শুক্রবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে সর্বসম্মতিক্রমে মমতাকেই সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়। এদিন কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতাতেই মমতা চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন। যদিও এই নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদেরও মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু মমতার বিপক্ষে কেউই দাঁড়াতে রাজি হননি।
এদিন সকাল থেকেই নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয় নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। নির্বাচনে অংশ নেয় তৃণমূলের প্রায় ৪ হাজারের বেশি সদস্য। যার মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক,সাংসদ থেকে শুরু করে জেলার পাশাপাশি ১০ টি রাজ্যের প্রতিনিধিরাও। নির্বাচন শেষে দলের সহসভাপতি মুকুল রায় এই পদে মমতার নাম ঘোষনা করেন।
১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্নের পর থেকে এই নিয়ে চতুর্থবার দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা। আগামী ছয় বছর এই পদে থাকবেন তিনি। এর আগে ২০০১, ২০০৬ ও ২০১১ সালে তিনি দলের সভানেত্রী পদে নির্বাচিত হন।
তবে দলের এই দায়িত্ব অন্য কেউ নিলেই ভাল হত বলে নিজের ইচ্ছার কথা জানান মমতা। সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েই মমতা বলেন‘এই দায়িত্ব অন্য কাউকে দিলে খুব ভাল হতো। কারণ কাজের চাপে আমি একবারেই দলকে সময় দিতে পারছি না’। তিনি বলেন ‘আমি একজন কর্মী হয়েই থাকতে চাই, কারণ কর্মীরাই দলের সম্পদ, নেতারা নয়। তৃণমূল মানুষের কল্যাণে কাজ করে’। যদিও মমতা একথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই সভায় উপস্থিত সাধারণ কর্মী থেকে শুরু নেতা-নেত্রীরা সকলেই মমতা এই সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য আর্জি জানান।
সভানেত্রীর পদে নির্বাচিত হয়েই নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে দলের রাজনৈতিক দিকনির্দেশের পাশাপাশি তৃণমূলস্তর থেকে সংগঠনকে চাঙ্গা করা সহ একাধিক নির্দেশও দেন মমতা। পাশাপাশি কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি’কেও নিশানা করেন মমতা। বিজেপির বিরুদ্ধে বিভেধ সৃষ্টির অভিযোগ এনে মমতা বলেন হিন্দু ধর্মের অর্থ হল সহিষ্ণুতা কিন্তু গেরুয়া দল জাতি, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগাভাগি করছে। কিন্তু আমরা সব ধর্মকে সম্মান করি, মানবতাই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়’।
বিডি প্রতিদিন/২১ এপ্রিল, ২০১৭/ ই জাহান