পাকিস্তানের আইএসআই ও বিশেষ রক্ষী পরিবেষ্টিত দাউদ ইব্রাহিম বৃহস্পতিবার মুম্বাই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার (১৯৯৩) রায় শুনলেন। তাকে এই বিস্ফোরণ মামলার মূলচক্রী হিসেবে অভিহিত করা হয়। বলা হয়ে থাকে ‘ডন কো পাকাড়না মুশকিল নেহি, মুমকিন হ্যায়’। পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদ ইব্রাহিম। তাকে ধরে সাধ্য কার।
আরব সাগরের এক তীরে যখন মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলার সাজা ঘোষণা নিয়ে তোলপাড়, সাগরের অপর তীরে করাচির অভিজাত এলাকা ক্লিফটনের বাংলোতে ডন দাউদ সেই খবর শুনেছেন।
সম্প্রতি দাউদ ইব্রাহিমের অসুস্থতা নিয়ে একাধিক সংবাদ মাধ্যম রিপোর্ট দিয়েছিল। সর্বশেষ খবর, দাউদ আপাতত সুস্থ। কখনও করাচির ক্লিফটন বিচ আবার কখনও পাকিস্তানের শৈলশহর মুরিতেই সময় কাটায় ইন্টারপোল মোস্ট ওয়ান্টেড ডন।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ আক্রান্ত হওয়ার পরের বছর ১৯৯৩ সালে মুম্বইতে ভয়াবহ নাশকতা ঘটানো হয়। সেই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম আসামী আবু সালেমের কী সাজা হয় তা জানতে মুখিয়ে ছিলেন দেশবাসী। অন্যদিকে পাকিস্তানের সবকটি সংবাদ মাধ্যমে মুম্বাই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলা সংক্রান্ত খবর সম্প্রচারিত হয়েছে৷ সেই খবরই খুঁটিয়ে দেখেছে দাউদ ইব্রাহিম।
আগেই এই মামলায় ফাঁসি হয়েছে দাউদ ঘনিষ্ঠ ইয়াকুব মেমনের। এবার আবু সালেমের কী সাজা হয় সেই দিকেই নজর রেখেছিল ডন।
এক সময়ের ডন ঘনিষ্ঠ আবু সালেম মুম্বাই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার পর দুবাই পালিয়ে যায়। জাল পাসপোর্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ হয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে গোপনে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল আবু সালেমকে। পরে টি সিরিজের মালিক গুলশান কুমারকে খুনের সুপারি নেওয়ায় দাউদ ও আবু সালেমের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। এরপরেই লিসবন থেকে বান্ধবী তথা স্ত্রী মনিকা বেদী সহ আবু সালেম গ্রেফতার হয়।
ভারত-পর্তুগাল বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে মুম্বাই হামলার অন্যতম চক্রী আবু সালেমের যে মৃত্যুদণ্ড হবে না তা জানত ডন দাউদ। বৃহস্পতিবার সে শুনল আর দুই সাগরেদের ফাঁসির সাজার খবর।
ডন দাউদ জানে সে নিরাপদ। কারণ তার নিরাপত্তায় মোতায়েন পাক সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। তাই সে নিশ্চিন্ত।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর
বিডিপ্রতিদিন/ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ ইমরান জাহান