আর্ন্তজাতিক মহলকে উত্তপ্ত করে উত্তর কোরিয়া হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করার দিনকয়েক পরেই কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক মহড়া চালাল চীন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামরিক শক্তি পরীক্ষা করতেই এই মহড়া, কোনো দেশকে উদ্দেশ্য করে নয়।
এটি পূর্ব-পরিকল্পিত মহড়া বলেও জানানো হয়েছে। চীন এর আগে বারবার বলে এসেছে, কোরিয়া উপদ্বীপে সমস্যার সমাধানে তারা কোনো সামরিক পথ বেছে নিতে চায় না।
অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সাহায্যে দেওয়ার অভিযোগে রাশিয়া ও চীনের এক ডজন কোম্পানি ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা চীনা ও রুশ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এখন থেকে আর কোনো মার্কিন ব্যক্তি বা কোম্পানি বাণিজ্য করতে পারবে না। মার্কিন অর্থ বিভাগ বেইজিং ও মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বলেছে, এর ফলে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়বে।
চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমন সময় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল যখন চলতি মাসের গোড়ার দিকে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি প্রস্তাবের পক্ষে চীন ও রাশিয়া ভোট দিয়েছিল। চীন এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বেইজিং জানিয়েছে, ওয়াশিংটন চীনা কোম্পানিগুলোকে শাস্তি দেওয়ার যে ‘ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে’ তা যেন অবিলম্বে সংশোধন করে। তবে এই ব্যাপারে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এরমধ্যে সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে উত্তর কোরিয়া ঘোষণা করে, দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ