ভারতের আসামে বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করতে বাবা রামদেব বন্যাত্রাণে পাঠালেন মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী। বাবা রামদেবের পতঞ্জলীর সামগ্রী ১০০ শতাংশ শুদ্ধ ও দেশি বলে দাবি করার পরেও এ ধরনের ভুল কী করে রামদেব করে বসলেন তা সত্যি ভাববার বিষয়। এককথায় বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়লেন এই যোগগুরু।
এ বছরের বন্যাতে মারাত্মকাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আসাম। কিন্তু গুজরাট বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে গিয়ে কেন্দ্রের কাছে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছিল আসাম। দেরিতে হলেও কেন্দ্রের নজর অবশেষে পড়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের নজর পড়ুক আর না পড়ুক বাবা রামদেব কিন্তু অসমের বন্যা দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
মোট ১২ লক্ষ টাকার ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে আসামের বন্যাত্রাণে। কিন্তু যে সব সামগ্রী পাঠানো হয়েছে তার অধিকাংশরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে বা দুই-এক দিনের মধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে। এরকম জিনিস হাতে পেয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ আসামের বন্যা দুর্গতরা।
গুঁড়ো দুধের প্যাকেট থেকে ফলের জুস সব সামগ্রীরই প্রায় একই হাল। কোনও কোনও সামগ্রীর তো আবার এক বছর আগেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে পতঞ্জলীর মাজুলি জেলার প্রধান রোহিত বড়ুয়া এ কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, তাড়াহুয়োয় পাঠানো হয়েছে সামগ্রী। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর চাউর হওয়ার পরেই ক্ষুব্ধ হন জেলাশাসক। তিনি তড়িঘড়ি রামদেবের পাঠানো সামগ্রী বিতরণ না করার নির্দেশ দেন।
সূত্রের খবর, বেশ কিছু মানুষ রামদেবের খাবার খেয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। যদিও পতঞ্জলীর মুখপাত্র অবশ্য বলছেন এরকম কোনও কাজ তারা করতেই পারেন না। মানবিক কারণে যে জিনিস দেওয়া হয়েছে তা খারাপ হতে পারে না।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ তাফসীর