মার্কিন গোয়েন্দাদের দেওয়া খবর এবং পাকিস্তান সেনাদের তৎপরতায় পাঁচবছর অপহৃত থাকার পরে তালেবানের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন জোসুয়া বয়েল এবং তাঁর পরিবার। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের ডেরায় কেমন কেটেছে এই পাঁচ বছর তা নিজের মুখেই সেই অবর্ণনীয় অত্যাচারের বিবরণ দিয়েছেন এই মার্কিন-কানাডিয়ান নাগরিক।
আমেরিকায় ফেরার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়েছিলেন বয়েল। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমার শিশুকন্যাকে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। আমার স্ত্রীকে ওরা ধর্ষণ করেছে দিনের পর দিন। সেগুলো নিজের চোখে দেখতে হয়েছে আমাকে। মাঝেমাঝে মনে হতো এর চেয়ে বোধহয় মরে যাওয়াই ভাল।’
বয়েল ছাড়াও তার সঙ্গিনী ক্যাটলিন কোলম্যান তাদের তিন সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন আফগানিস্তানে। সেই সময় গর্ভবতী ছিলেন ক্যাটলিন। কাবুল থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। জঙ্গি ডেরাতেই সন্তানের জন্ম দেন ক্যাটলিন। জন্মের পর সেই সন্তানকে হত্যা করেছে জঙ্গিরা।
বয়েল বলেছেন, ‘আমাকে প্রতিদিন শারীরিক নির্যাতন করা হতো। যখন তখন ধর্ষণ করা হতো আমার স্ত্রীকে। আমরা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব সহ্য করতাম। ভাবতাম, ওরা আমাদের হত্যা কেন করছে না। অজস্রবার জঙ্গিরা ডেরা পাল্টেছে। আমাদেরও ওদের সঙ্গে নিয়ে যেত।’
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকে এবং পরিমিত খাদ্য না পেয়ে তাদের সন্তানরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন বয়েল। তিনি বলেন, ‘ওদের নির্যাতনের হাত থেকে আমাদের সন্তানরাও রেহাই পায়নি। তাদের উদ্ধার করতে পাকিস্তান সেনা যখন হামলা চালিয়েছিল, তখন জঙ্গিরা তাঁদের মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল।’
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর