ডাকাতির অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে ভারতের পুলিশ। দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার ভায়েন্দারে এক বাড়িতে নগদ ও গহনা মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ রুপির জিনিস লুটের অভিযোগে ওই পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার কাশিমীরা পুলিশ থানার পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি। এর মধ্যে তিন জন বিমানে বাকী দুই জন রেল পথে ভারতে প্রবেশ করেছে বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২২ মার্চ ভায়েন্দারের কাশিমীরা থানার অধীন চিনা ক্রিক এলাকায় একটি বাড়ির লোহার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ওই পাঁচ অভিযুক্ত। তাদের প্রত্যেকের হাতেই অস্ত্র ছিল। এরপর অস্ত্র দেখিয়ে বাড়ির সকলকে চুপ করতে বলা হয়। একসময় বাড়ির লোকেদের হাত-পা বেঁধে লুটপাট চালানো হয়। আলমারি থেকে নগদ ও দামী গহনা মিলিয়ে ৯.৯৮ লাখ রুপির জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়।
অভিযোগ পেয়ে ওই ডাকাতির ঘটনার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের পক্ষে একটি বিশেষ টিমও তৈরি করা হয়। এরপর থানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়।
শুক্রবার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চের সিনিয়র ইন্সপেক্টর ভেঙ্কট আন্ডালে এবং সহকারী ইন্সপেক্টর প্রমোদ বাদাক’এর নেতৃত্বে একটি টিম ভাসাই ও ভারসোভার মধ্যে যোগাযোগকারী একটি সেতুর দিকে নজর রাখে। তল্লাশি চালানো হয় প্রতিটি গাড়িতে। এসময়ই একটি গাড়িকে থামানো হয় এবং তার মধ্যে থেকেই ২২ মার্চ’এর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করা হয়’।
আটক পাঁচ বাংলাদেশিকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে মহম্মদ ইসমাইল হাওলাদার (৩২), বাপ্পা আকবর শেখ (২৭), মহম্মদ লতিফ শেখ (৩১), মহম্মদ আকরাম ইরফান আলি (২৮) এর বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। অন্যজন লুকমান চিনা মিয়া (২৩)’এর বাড়ি সিলেটে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৯৫, ৪৫৮, ৩৮২, ৫০৬ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানায় ‘এই ডাকাতি ছাড়াও অন্য কোন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত পাঁচ জনকে স্থানীয় আদালতে তোলা হলে আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/৩০ মার্চ ২০১৮/হিমেল