তালেবান জঙ্গিদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ছয় বছর পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো নিজের দেশে ফিরেছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী পাকিস্তানি তরুণী মালালা ইউসুফজাই। তবে শনিবার পাকিস্তানের একসময়ের জঙ্গি উপদ্রুত অঞ্চল খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াট উপত্যকার মিনগোরা শহরে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। খবর এএফপি’র।
এএফপি’র প্রতিবেদক জানান, মালালার সঙ্গে তার বাবা-মা ও দুই ভাইয়ের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যরাও রয়েছেন।
নারী শিক্ষার অধিকার নিয়ে সোচ্চার ভূমিকার কারণে ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর মালালাকে গুলি করে তালেবানরা। মাথায় গুলি লাগলেও অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। মালালার বয়স ছিল তখন ১৪ বছর। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার এক হাসপাতালে মাথায় অস্ত্রোপচারের পর সেরে ওঠেন মালালা। কিন্তু এই ঘটনা সারা বিশ্বে তার নতুন পরিচিতি তৈরি করে। ২০১৪ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। বর্তমানে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন মালালা। যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে প্রথমবারের মতো দেশে ফিরেন ২০ বছর বয়সী এই শিক্ষা অধিকারকর্মী।
‘ভয়ডরহীন পরিবেশে প্রত্যেক বালিকা পড়তে ও নেতৃত্ব দিতে পারবে’ এমন বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন মালালা। বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এতদিন পাকিস্তানে ফিরতে না পারলেও মালালা যুক্তরাজ্যে থেকে তার লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, জর্ডান, সিরিয়া ও কেনিয়ার মেয়েদের শিক্ষার সহায়তায় বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাইকে সঙ্গে নিয়ে গঠন করেন মালালা ফান্ড। শিশু ও তরুণদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ২০১৪ সালে ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা। সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পাওয়া ব্যক্তি তিনিই।
বিডি প্রতিদিন/৩১ মার্চ ২০১৮/এনায়েত করিম