ভারতে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে চার বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের ভিবান্দি থেকে থানে জেলার পুলিশ তাদের আটক করে। ওই চার নারী ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছিল বলেও জানায় তারা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভিবান্দি’র হনুমান তেকরি এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালায় থানে পুলিশের অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিক সেল (এএইচটিসি)-এর সদস্যরা।
এএইচটিসি-এর সিনিয়র ইন্সপেক্টর রবীন্দ্র ধৌন্দকর জানান ‘অভিযুক্ত চার নারীর বয়স ২৫-৩০ বছরের মধ্যে। তারা সকলেই একটি বাড়িতে ছিল এবং প্রত্যেকেই ইচ্ছার বিরুদ্ধেই পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত ছিল। যদিও পুলিশের দাবি তাদেরকে পাচার করা হয়নি এবং প্রত্যেকেই স্ব ইচ্ছায় এই পেশায় যুক্ত ছিলেন’।
রবীন্দ্র জানান ‘ওই চার নারীকে যখন ভারতীয় পরিচয়পত্র দেখানোর কথা বলা হলো তারা প্যান কার্ড, আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড কিছুই দেখাতে পারেন নি। তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে তারা বাংলাদেশি। কিন্তু ভারতের প্রবেশের বৈধ পাসপোর্ট বা নথিও তারা দেখাতে ব্যর্থ হয়। এরপরই তাদের আটক করা হয়। কাজের সন্ধানেই এক বছর আগে দালালের হাত ধরে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করে কিন্তু কাজ না পাওয়ার কারণেই ওই চার নারী পতিতাবৃত্তির কাজে জড়িয়ে পড়েন’।
চার নারীর বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের ফরেনারস অ্যাক্টের ১৪ (এ), (সি) এবং ১৯৫০ সালের পাসপোর্ট আইনের ৩ (এ), ৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একইসঙ্গে ওই চার বিদেশি নারীকে যে ব্যক্তি বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন তাকেও আটক করা হবে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। পাশাপাশি বিদেশিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত কয়েক বছর ধরেই মহারাষ্ট্রের থানে সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে একাধিক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটকের পর বিষয়টি নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান