দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে শক্তিশালী সুপার টাইফুন মাংকুত তাণ্ডব অব্যাহত রেখেছে। ফিলিপাইনে ব্যাপক তাণ্ডবের পর ঝড়টি এবার আঘাত হেনেছে চীনে। চীনের দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল রবিবার বিকেলে আঘাত হানে মাংকুত। এখন ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে মারাত্মকভাবে বইছে দমকা হাওয়া। ইতোমধ্যে দুইজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে টাইফুন মাংকুতের তাণ্ডবে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। কর্দিলিয়ারা ও নুয়েভো ভিজকাইয়ায় নিহতদের অধিকাংশই ভূমিধসের শিকার হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা ফ্রান্সিস তোলেন্তিনো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফ্রান্সিস তোলেন্তিনো আরও জানিয়েছেন, মাংখুটের আঘাতে লুজনের উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য এলাকার ক্ষতির খবর এখনও আসছে। এদিকে টাইফুন মাংখুটের তাণ্ডবে তুগেগ্যারাও শহরের প্রায় সব ভবন কিছু না কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল ঝড়ে উপকূলীয় শহর আপারির আশ্রয় কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে এবং শহরটির ফোন নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছে।
এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মাংকুতের আঘাতে ভূমিধসের শঙ্কায় চীনের গুয়াং ডং প্রদেশ থেকে প্রায় আড়াই মিলিয়ন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মাংকুত ওই অঞ্চলে ভূমিধসের সৃষ্টিও করেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রায় ১৮ হাজার ৩২৭টি আশ্রয়স্থল সক্রিয় করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে ৬৩২টি পর্যটন এবং ২৯ হাজার ৬১১টি নির্মাণ প্রকল্প এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার