নেপালের গুরজা পর্বতে প্রবল তুষারঝড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি অভিযাত্রী দলের অন্তত আট সদস্য নিহত হয়েছেন। ঝড়ে অভিযাত্রীদের ক্যাম্প লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। শনিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, শনিবার ভোরে উদ্ধারকর্মীদের একটি দল বিধ্বস্ত ক্যাম্পে পৌঁছে নেপালি গাইডসহ আটজনের মরদেহ খুঁজে পান। বৈরি আবহাওয়া ও বরফের কারণে সেখানে অনুসন্ধান চালানোয় ব্যাঘাত ঘটছে।
'তুষারঝড়ের কারণেই এমনটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ এখানে গাছ ও তাবু ভেঙে গেছে। এমনকি মরদেহগুলোও ছড়িয়ে রয়েছে, পুলিশ জানায় এএফপিকে।
একটি হেলিকপ্টার ক্যাম্পের ঠিক উপরে একটি স্থানে নামতে সক্ষম হলেও তারা কোনো মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি।
'সব উধাও হয়ে গেছে। সবগুলো তাবু ছিন্নভিন্ন হয়ে আছে। এখানে আবহাওয়া অত্যন্ত শীতল হওয়ায় অনুসন্ধান চালানো যাচ্ছে না, জানান পাইলট সিদ্ধার্থ গুরুং।
অবস্থার উন্নতি হলে সেখানে রবিবার আবারও উদ্ধারকর্মীরা যেতে পারেন।
অভিযানের পরিকল্পনাকারী ট্রেকিং ক্যাম্প নেপালের ওয়াংচু শেরপা বলেন, ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ওই দলটির কাছ থেকে কোনো বার্তা না পেয়ে তিনি সর্তকতা জারি করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পর্বতারোহীদের দলটি ৭,১৯৩ মিটার পর্বতের পাদদেশে ক্যাম্প বানিয়ে ভালো আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। তাদের মরহেদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত পর্বতারোহী কিম চং হোও রয়েছেন। তিনি ২০১৩ সালে কোনো বাড়তি অক্সিজেন ছাড়াই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১৪টি পর্বতের চূড়ায় সবচেয়ে দ্রুত আরোহণের রেকর্ড গড়েন।
উল্লেখ্য, নেপালের গুরজা বিশ্বের সপ্তম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
বিডি প্রতিদিন/১৩ অক্টোবর ২০১৮/আরাফাত