কাশ্মীরের পুলওমায় জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে পাকিস্তান ভূ-খণ্ডে হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে আক্রমণ করে দেশবাসীর কাছে রাতারাতি হিরো বনে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিমান বাহিনীর হামলায় আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেকে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঘটনাচক্রে মোদির কোর্ট থেকে বল বেরিয়ে গেছে।
পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে বোমা নিক্ষেপ করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। তারা দাবি করে, এ হামলায় অন্তত ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। কিন্তু এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। ভারত তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণও দেখাতে পারেনি।
বিপরীতে বুধবার ভারতের দুই যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান। ভূপাতিত করা বিমানের পাইলট অভি নন্দনকেও আটক করা হয়। ফলে সাম্প্রতিক যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় মাঠ থেকে নরেন্দ্র মোদি যেন কিক আউট হওয়ার উপক্রম। আটক পাইলটকে জীবিত ফেরত আনতে দেশের অভ্যন্তরে তার ওপর চাপ বাড়তে থাকে।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নজর এখন আটক পাইলটের দিকে। পাকিস্তান ইচ্ছা করলে অবৈধ অনুপ্রবেশ বা সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের দায়ে আটক ভারতীয় পাইলটের বিচার করতে পারে। কিন্তু তা না করে শুক্রবার (১ মার্চ) তাকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ইমরান খান বেশ সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।
অপর দিকে মোদি পাকিস্থান বিরোধীতার উন্মাদনা তুলে দেশের অভ্যন্তরে যে রাজনৈতিক সুবিধা তৈরি করতে চেয়েছিলেন তা যেমনি সফল হয়নি তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ইমরান খানের কাছে পিছিয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াঘাহ সীমান্ত দিয়েই দেশে ফিরবেন অভি নন্দন। এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, বিকেলর মধ্যেই মুক্তি পেয়ে যাবেন অভি নন্দন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন